কুসুম শিকদারের “নেশা” মিউজিক ভিডিওটি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। এরই মাঝে একটি মিডিয়াতে সাক্ষাতকারে কুসুম জানালো তাকে নিয়ে রিউমার ছড়ানো হচ্ছে। তার কাছের কোন মানুষ এই রিউমার ছড়াচ্ছেন বলে ইংগিত করেছেন। এরই মাঝে খবর এলো কুসুমের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে। এসব কিছু নিয়ে কথা বলে কুসুম।
কুসুম সিকদার বলেন-
১৭ সেপ্টেম্বর বেশকিছু অনলাইন পোর্টাল ও কিছু পত্রিকার খবর থেকে জানলাম, আমাদের নামে মামলা করা হয়েছে। সত্যি বলতে আজ দশদিন পেরিয়ে গেলেও আমার কাছে কিংবা বঙ্গ’র কাছে মামলার কোনো কাগজ পৌঁছায়নি। মানে পত্রিকায় নিউজ না হলে এতদিনেও জানতাম না যে, আমাদের নামে মামলা হয়েছে।
উদাহরণটা এজন্যই দিলাম যে, যদি কালকে অনলাইন পোর্টালে কিংবা নিউজপেপারে আমার বিচ্ছেদের খবরটা জানি, তাহলে ওইভাবেই জানতে পারবো। যেটা আসলে আমি নিজেই জানি না।
বিগত কয়েকদিন ধরেই দেখছি, নির্দিষ্ট একটা গ্রুপ আমার সম্পর্কে নেগেটিভ কথা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তার মধ্যে দেখা গেছে, পাঁচ ভাগ হয়তো সত্যি, কিন্তু সেটাকে তারা পাঁচের পর একটা শূন্য লাগিয়ে পঞ্চাশ ভাগ বানিয়ে ফেলছে এবং তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি খুব হতাশ।
ঝামেলা তো সবক্ষেত্রেই হয়। বাবা-মার সঙ্গেও হয়, স্বামীর সঙ্গেও হয়। আবার বন্ধুর সঙ্গেও হয়। তার মানে তো এই না যে, আমরা সারা জীবনের জন্যে সম্পূর্ণভাবে আলাদা হয়ে যাচ্ছি।
এই পাঁচ ভাগ ঝামেলাটাকে অনেকে পঞ্চাশ ভাগ করে ছড়াচ্ছে চারদিকে। এটা দুঃখজনক। কেন জানি না, আমার স্ক্যান্ডাল ছড়ানোর জন্য অনেকে উঠে পড়ে লেগেছে।
এটা আমি খুব ভালো করে জানি। যতদিন ফ্যান-ফলোয়ার্সরা আমার সঙ্গে থাকবে ততদিন পর্যন্ত এই পাঁচ ভাগ ঘটনা কখনো পঞ্চাশ ভাগে যাবে না।
যারা আমাকে নিয়ে কথা বানায়, তারা আমার পরিচিত। পরিচিত না হলে আমার সম্পর্কে রিউমার ছড়িয়ে তাদের তো কোনো লাভ নেই। অপরিচিত কেউ তো এভাবে বলবে না। তাদের কী লাভ? কিন্তু পরিচিত মানুষরা এধরনের কথাগুলো ছড়িয়ে কোনো না কোনোভাবে সুবিধা পায়। তাই করে।
আমি ২০০২ সালে লাক্স-আনন্দধারা মিস বাংলাদেশ ফটোজেনিকে (বর্তমানে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই কাজ শুরু করি। ১৫ বছর আগে মাথায় এরকম একটি মুকুট দিয়ে আমার পথচলা শুরু।
তারপর আমার প্রথম সিনেমা ‘গহীনে শব্দ’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। দ্বিতীয় সিনেমা ‘লালটিপ’ তখনকার দিনে বাণিজ্যিক সিনেমার পাইওনিয়ার। ‘লালটিপ-এর পর সবাই ওই ধরনের সিনেমা বানানো শুরু করে। তারপর ‘শঙ্খচিল’ ভারতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে।
সুতরাং এখন পর্নোগ্রাফির মামলা বানিয়ে আলোচনায় আমার আসার দরকার নাই। আমার অভিনয় জীবন শুরুই হয়েছে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। বড় বড় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী আমি। এই ধরনের স্টান্টবাজি করার প্রয়োজন আমার নাই।
অনেকে বলছে, আমি স্টান্টবাজি করছি। কেন বলেছে? এটা অবিশ্বাসযোগ্য, সেকারণে। এটা যদি পর্নো হত তাহলে তো কেউ বলত না কুসুম স্টান্টবাজি করছে। তাহলে সবাই বলত, এটা তো আসলে পর্নোই। সেটা হতেই পারে। যেহেতু এটা পর্নো না সেহেতু মামলা করাটা হাস্যকর ব্যাপার।
সেকারণেই সবার সন্দেহ হচ্ছে, কুসুম এটা করাচ্ছে। এটা সাধারন ও বাণিজ্যিক একটা মিউজিক ভিডিও। সেটা নিয়ে পর্নোগ্রাফি মামলা হওয়ার কোনো যুক্তি নাই। সেকারণেই অনেকে অবাক হয়ে বলছে, এটা কুসুম করাচ্ছে।
আমাদের সিনেমাতে যে কন্সটিটিউশন আছে সেখানে ক্লিভেজ দেখানো যায় না, পেট দেখানো যায় না। কিন্তু এগুলো দেখিয়ে দেখিয়ে সিনেমা, মিউজিক ভিডিও, নাটক-সবই হচ্ছে। এমনকি এগুলোও আমার মিউজিক ভিডিওতে নাই, পর্নো তো বহু দূরের কথা। অশ্লীল আর শ্লীলের মধ্যে খুব সূক্ষ্ম সুতা আছে, সুতাটা অনেকে ধরতে পারে না।
Nice posts! 🙂
___
Sanny
Look my site is good
___
http://davesdevotional.org
http://afcmarseille.com