জরায়ু নারী দেহের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জরায়ুকে ইংরেজিতে womb বা uterus বলা হয়। এটি মানুষসহ অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রানীর প্রধান প্রজনন অংগ। বিভিন্ন সময় হরমন ক্ষরণের মাধ্যমে এর কাজ প্রভাবিত হয়। এটি একটি হরমন প্রতিক্রিয়াশীল অংগ। পুরুষ দেহের শুক্রাণু নারী দেহের ডিম্বাণুর সাথে এখানে মিলিত হয়ে সন্তানের জন্ম হয়।
নারীর দেহে জরায়ু থলের মত দেখতে একটি পেশিবহুল অংগ। এর আকৃতি অনেক নাশপাতির মত। এটি ৫ সেন্টিমিটার চওড়া, ২.৫ সেন্টিমিটার পুরু এবং ওজন ৩০ গ্রাম। এর অবস্থান দেহের মধ্যরেখা বরাবর মূত্রাশয় ও মলাশয়ের মাঝে থাকে। জরায়ুর তিনটি প্রান্ত রয়েছে। উপরে দুই পাশে দুটি টিউব (ফেলোপিয়ান) নালীতে উন্মক্ত যা দিয়ে ডিম্বানু জরায়ুতে প্রবেশ করে। আর তৃতীয় প্রান্তটি নীচের দিকে এসে যৌনাঙ্গে উন্মক্ত যা দিয়ে যৌন মিলনের মাধ্যমে পুরুষ দেহ থেকে শুক্রাণু প্রবেশ করে এবং জরায়ুতে ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়।
নারী দেহে মাসের একটি বিশেষ সময় ডিম্বানু পরিপক্ব হয়ে ফেলোপিয়ান টিউবে প্রবেশ করে। ৪/৫ দিনের মধ্যে তা টিউবের পথ বেয়ে মূল জরায়ুতে অবস্থান করে। এ সময় যদি তা শুক্রানুর সাক্ষাত না পায় তবে আস্তে আস্তে বিনষ্ট হয় এবং যৌন নালীর পথ বেয়ে বেরিয়ে আসে। এ সময়কে নারীরা মাসিক বলে থাকে। সাধারণত ৪/৫ দিনের মধ্যে তা পুরোপুরি বেরিয়ে যায়।
পুরুষের সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে যৌনাঙ্গ দিয়ে পরুষের বীর্য নারী দেহের জরায়ুতে প্রবেশ করে। জরায়ুর ফেলোপিয়ান টিউবে ডিম্বানু প্রবেশের তিন দিনের মধ্যে যৌন মিলনের মাধ্যমে বীর্য প্রবেশ করলে তা ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়। শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে ভ্রুণের আদি দশায় পৌঁছে। এরপর নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রবেশ করে। এই অবস্থাকে নারীর গর্ভ-সঞ্চার কাল ধরা হয়। জরায়ুতে ভ্রূণটি পৌঁছার ৪/৫ দিনের মধ্যে, জরায়ুর অন্তঃপ্রাচীরের গায়ে যুক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভ্রূণ ও জরায়ুগাত্রের মধ্যে কিছু কোষ যুক্ত হয়ে ভ্রূণকে স্থিতি অবস্থায় রাখে। এই সংযুক্ত কোষরাশিকে অমরা বা গর্ভফুল বলা হয়। এই গর্ভফূলের দ্বারা ভ্রূণ মাতৃদেহ থেকে খাদ্য পায় এবং ভ্রূণের দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বেরিয়ে যায়। জরায়ুতে ভ্রূণটি বড় হতে থাকে। ভ্রূণের ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জরায়ু বৃদ্ধি পায়। ভ্রূণ থেকে মানব শিশুতে পরিণত হতে প্রায় ২৮০ দিন সময় লাগে। এরপর নারী সন্তান প্রসব করে।
Pingback: কিভাবে যমজ সন্তান জন্ম হয়? কেন তারা দেখতে একই রকম বা ভিন্ন হয়? | NariBangla
Pingback: প্রেগন্যান্সির ১০ লক্ষণ জানাবে আপনি গর্ভবতী | NariBangla
Pingback: জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা | NariBangla
Pingback: জরায়ু বড় হয় কেন, চিকিৎসা কি? | NariBangla
Pingback: জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি? | NariBangla
Pingback: জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ ও চিকিৎসা | NariBangla
hf
আমি,লিগ,উপারেশন,করেছি,তাই,বোলে,সনতান,নিতে,পারবো,না
সনতান.নেয়ার,উপাই,কি
Nice posts! 🙂
___
Sanny