শীতকালে যেমন আমরা মোটা ও টাইট কাপড় পরি, গরম আসলে তার উল্টোটা পরতে হয়। যেমন একটু ঢিলেঢালা আর পাতলা কাপড়। সব থেকে ভাল হয় যদি সুতির পোশাক পরা হয়। প্রচণ্ড গরমে আপনাকে আরাম দেবে এই সুতির পোশাক।
পুরুষের চেয়ে নারীরাই গরমে অস্বস্তিতে ভোগেন বেশি। কারণ পুরুষ গরমে যখন-তখন বদলাতে পারেন দেহের পোশাক। কিন্তু নারীরা তা পারেন না। এ ছাড়া নারীদেহে অতিরিক্ত মেদ জমার কারণে গরম অনুভূত হয় বেশি। চল্লিশ-ঊর্ধ্ব নারীদের রজঃনিবৃত্তির পরবর্তী সিনড্রোমে এমনিতেই উসকে দেয় যেন। যেসব নারী গর্ভনিরোধক বড়ি খেয়ে থাকেন, গরমে তাদের অসহনীয়তাও বাড়ে। বিভিন্ন ধরনের সাজগোজের কারণেও শরীরে বাতাস ঢুকতে বাধা পায়। এতে গরম বেশি লাগে। ফলে গরমে অসুস্থতার হার বেড়ে যায়।
গরমে সুতির ম্যাক্সি পরে থাকুন। আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না। সাদা পোশাক পরুন। গরমে স্লিভলেস পরুন। অন্তর্বাসও যেন সুতির হয়। সিনথেটিক ও টাইট পোশাক ব্যবহারে শরীর ঘেমে যাবে। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে ঘাম জমা হয়ে সৃষ্টি হবে চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ।
সুতি কাপড় যেমন সহজলভ্য তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত। তাছাড়া সুতির পোশাকে যে কোনো নারী-পুরুষের মধ্যে একটি মার্জিতভাব প্রকাশ পায়। সুতি সুতা মূলত প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি। আর এগুলো আসে রেশম গুটি, কার্পাস তুলার বীজ ইত্যাদি উপাদান থেকে। এসব থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তন্তুগুলোকে আলাদা করে সুতা তৈরি হয়।
গরমে ঢিলেঢালা সুতির নরম পোশাক বেশ আরামদায়ক। কেননা তা জামা-কাপড়ের অভ্যন্তরে বায়ু চলাচলে সাহায্য করে এবং শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। তাই খুব সহজেই চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে সুবিধা হয়। লিনেনের তৈরি কাপড়ও ব্যবহার করা যায়। এটাও হালকা, বায়ু চলাচলকারী ও আরামদায়ক। তবে গরমে সুতির কাপড়ই সবচেয়ে ভালো। তা অতিরিক্ত ঘাম শুষে নিয়ে অস্বস্তি থেকে বাঁচায়।
গরমে হালকা রং, যেমন আকাশি, হালকা সবুজ, লেমন, অফ-হোয়াইট, সাদা ইত্যাদি রঙের কাপড় পরা দরকার। এসব রঙের তাপ শোষণ করার ক্ষমতা অনেক কম। তাই গাঢ় রঙের কাপড়ের মতো তেতে উঠতে পারে না। সর্বোপরি গরমের পোশাক হবে হালকা রঙের উপযুক্ত মাপে তৈরি ঢিলেঢালা ও প্রয়োজনমতো খাটো সুতির হাফ শার্ট। প্যান্টও হবে অনেকটা সেরকম। পকেটে একটা সুতির রুমাল থাকলে প্রয়োজনে ঘাড়, গলা ও মুখের ঘাম মুছে গরমের যন্ত্রণা অনেকটা কমানো যায়। রোদে চলতে হলে জিন্স অথবা টাইট-ফিট পোশাক না পরে ঢিলেঢালা কাপড় পরা দরকার।
তবে গরমকালে সাদা রঙের পোশাকের জয়জয়কার সবসময়ই। আবার পোশাকে খুব বেশি টাইট ফিটিংস হলেও কিন্তু সেটা খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না। একটু ঢিলেঢালা হলেই বরং ভালো হয়। যারা হাইনেক পরেন তারা এ গরমে একটু কলার ছাড়া বড় গলা পরে দেখতে পারেন। আরাম পাবেন। আর হাতাও অবশ্যই ছোট দিতে হবে। গরমে ফুল স্লিভ কিংবা থ্রি-কোয়ার্টার আরামদায়ক নয়। গরমে আরাম পেতে পরুন স্লিভলেস। গরমে খুব উজ্জ্বল আর গাঢ় রং মোটেও শোভন নয়। হালকা রঙের পোশাক পরলে আপনাকে যেমন দেখতে ভালো লাগবে তেমনি আপনি স্বস্তিতে চলাফেরা ও প্রয়োজনীয় কাজটাও করতে পারবেন।
সুতি কাপড়ের সঙ্গে লিনেন, দুপিয়ান, ভয়েল, মসলিন, চিকেন ও তাতের কাপড় গরমের জন্য বেশ উপযোগী। উৎসবে পরতে পারেন কৃত্রিম মসলিন বা পাতলা চোষা কাতান। আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো বেশিরভাগই সুতি কাপড় দিয়ে তাদের পোশাক তৈরি করে থাকেন। কাজেই আপনার পছন্দসই পোশাক কিনে নিতে পারেন যে কোনো ফ্যাশন হাউস থেকে। আবার চাইলে আপনি নিজেই হতে পারেন আপনার পোশাকের ডিজাইনার। বাজারে এরই মধ্যে এসে গেছে গরমের উপযোগী রং ও ডিজাইনের থান কাপড়।
Pingback: গরমে কেমন পোষাক নির্বাচন করবেন? | NariBangla
Nice posts! 🙂
___
Sanny
Look my site is good
___
http://davesdevotional.org