শোবিজে স্পর্শিয়া কাজ শুরু করে ২০১১ সালে। এয়ারটেল এর দলবল টিভিসি ছিলো তার প্রথম কাজ। তার পর কেটে গেলো সাতটি বছর। এরই মাঝে গড়ে তুলেছে মিডিয়াতে শক্ত অবস্থান। একই ভাবে চেয়েছে সংসারে একটা শক্ত অবস্থা গড়ে তুলিতে। তা আর হলনা। তাই স্পর্শিয়া বেদনার দিন গুলোকে আর স্পর্শ করতে চায় না।
স্পর্শিয়া পারিবারিক জীবনে জড়িয়েছে ২০১৫ সালে। তারপর বিচ্ছেদেও জড়িয়েছেন। গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাজী অফিসে স্বামী নির্মাতা রাফসান আহসানের সঙ্গে আপনার ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিচ্ছেদ নিয়ে স্পর্শিয়া বলে, ‘বিচ্ছেদে জড়িয়েছি। তবে এসব ঘটনার পর থেকে আমি ভাল আছি। শান্তিতে আছি এবং অনেক কিছু শিখেছি এই ধাক্কা থেকে। কিন্তু এই পুরানো গল্প নিয়ে এখন যখন প্রশ্ন আসে সামনে তখন সেই আবার পুরানো জায়গায় ফিরে যাই। সবচেয়ে খারাপ লাগে তখন যখনই দেখি, কারণ না জেনে মুখ ফুটে কিছু না বলার কারণেই সমাজের অনেকেই দিন শেষে শোবিজের মেয়েটাকেই বাজে বলে।’
স্পর্শিয়ার জন্ম ৮ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে। এয়ারটেল ও প্যারাসুটের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নজড় কাড়ে মিডিয়ার। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রশংসার পাশাপাশি কিছু সমালোচনারও জন্ম দেয়। মিডিয়ায় খোলামেলা কথা, যৌন অবেদনময়ী মিউজিক ভিডিও, এবং পিঠ খোলা মডেলিং সমালোচনার জন্ম দেয়। বিজ্ঞাপন, নাটক, মডেলিং ছাড়াও বড় পর্দার হাতছানি এখন স্পর্শিয়ার।
স্পর্শিয়া ছোট পর্দায় অভিনয় করে সুনাম কুড়ালেও মূলধারার সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। এরপর যখন নিজের প্রতি খানিকটা আস্থা তৈরি হয়েছে। তখনই সাহস করে বাণিজ্যিক ছবিতে নাম লেখান তিনি। আর এ বছরের শুরুতেই চুক্তিবদ্ধ হন ‘বন্ধন’ চলচ্চিত্রে।
পাঁচ বন্ধুর জীবন নিয়ে বন্ধন ছবির কাহিনি। চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি ছবিটি পরিচালনা করছেন অনন্য মামুন। এর প্রথম ধাপের শুটিংও হয়েছে নেপালের নাগরকোটে। তারপর ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে। আর এখন চলছে খাগড়াছড়িতে। সেখান থেকে সাজেক যাবেন তিনি। ছবি নিয়ে কথা প্রসঙ্গে সে কথা জানালেন।
শুটিংয়ের প্রসঙ্গে স্পর্শিয়া বলেন,‘যেখানে শুটিং করছি জায়গাটা অনেক সুন্দর। আসলে আমাদের দেশটাই অনেক সুন্দর। আমাদের এ ফিল্মটার অর্ধেক অংশের শুটিং নেপালে হয়েছে। আর এখানে এসে মনে হচ্ছে নেপালে শুধু শুধু গিয়েছি। খাগড়াছড়ি, বান্দরবন নেপালের চাইতেও অনেক সুন্দর। কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে, মশা ও প্রচন্ড সূর্যের তাপ। না হলে সব ঠিকঠাক। এছাড়া প্রতিদিন ভোর চারটায় কলটাইম থাকে। শেষ হয় রাত ১২টায়। শুধু তিন ঘণ্টা ঘুমাই! ভাল কিছু হচ্ছে বলেই এ ধরনের কষ্টকে কোন কষ্ট মনে হচ্ছে না।’
২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নির্মাতা রাফসান আহসানের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন হয় স্পর্শিয়ার। আর সে বছরেরই ১ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। একটি অনলাইন শপের ভিডিওচিত্র নির্মাণের মাধ্যমেই সখ্যতা গড়ে উঠেছিলো রাফসান এবং স্পর্শিয়ার। আর ধীরে ধীরে সেটি রূপ নেয় বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম।
বিচ্ছেদে কোন কষ্ট নাড়া দেয় কি? স্পর্শিয়া বলে,‘এখন আর কোন কিছুই আমাকে কোন ভাবে নাড়া দেয় না। আর আমি বলব আমি ওই বিষয়গুলো ভুলার চেষ্টা করছি, আমাকে ভুলতে দেন। বিষয়টা আমার জন্য কষ্টের।’
ছবি: ইন্টারনেট
Nice posts! 🙂
___
Sanny
Look my site is good
___
http://davesdevotional.org
Look my site is good
___
http://afcmarseille.com
http://afcmarseille.com