হরমোন হচ্ছে এক প্রকার জৈব-রাসায়নিক তরল যা শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিঃসরিত হয়। হরমোনের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অংশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পরিবর্তনের সংকেত পাঠানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিপাকক্রিয়ার পরিবর্তনের জন্য অল্প একটু হরমোনই যথেষ্ট। এটি একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে যা এক কোষ থেকে অপর কোষে বার্তা বহন করে।
দেহের ভাঙ্গা-গড়াসহ সমগ্র বিপাকীয় ক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। হরমোনের অভাব বা আধিক্য দু’টো কারণের যে কোনোটাই দেহে ডেকে আনতে পারে মারাত্মক অসুখ-বিসুখ।
হরমোন হলো আসলে একধরনের উপাদান যেটা আমাদের শরীরের বিশেষ ধরনের কোষ তৈরী করে। আর এই উপাদান সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে যায় রক্তের মাধ্যমে। এর মূল কাজ হচ্ছে- দেহের সমস্ত কোষের যে কার্যপ্রণালী আছে তাদের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বিধান করা বা রেগুলেশন করা।
হরমোনকে তার কাজের ভিত্তিতে যদি আমরা মোটামুটিভাবে ভাগ করি তাহলে দেখা যাবে চার ধরনের হরমোন রয়েছে।
একধরনের হরমোন আছে যারা আমাদের দেহের বৃদ্ধির ঘটক, ইংরেজিতে যাকে বলে গ্রোথ এবং ডেভলাপমেন্টের কাজ করে থাকে।
আরেক ধরনের হরমোন আছে যারা আমদের দেহের কোষগুলোর অর্থাত দেহের সামগ্রিক শক্তি উতপাদন, শক্তির ব্যবহার- অর্থাত এনার্জি এবং মেটাবলিজম কন্ট্রোলের জন্য কাজ করে।
আরেক ধরনের হরমোন আছে যার কাজ হচ্ছে- শরীরের ভেতরে যে পানি আছে, ইলেকট্রোলাইজড আছে অর্থাত ইন্টারনাল ইনভায়রনমেন্টকে সে মেইনটেইন করে।
হরমোনের আরেকধরনের কার্যক্রম আছে। সেটি হচ্ছে সেক্স হরমোন। অর্থাত এই হরমোনের মাধ্যমে রিপ্রোডাকশন ততপরতা চালানো হয় এবং পুরুষ ও মহিলাকে স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দিয়ে থাকে এ হরমোন।
সামগ্রিকভাবে আমরা যদি হরমোনের কথা বলি এবং স্বাস্থ্যের জন্য হরমোনের তাতপর্যের কথা বলি- তাহলে এভাবে বলা যায়- হরমোন স্বাভাবিক থাকলে আমরা স্বাভাবিক আর যদি তাদের ঘাটতি থাকে তাহলে আমরা ঘাটতিজনিত অসুস্থতায় ভুগি আর বাড়তি হলেও বাড়তিজনিত অসুস্থতায় ভুগি।
আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে হরমোনের ঘাটতি বা বাড়তি যখন হয় তখন তার জন্যে যেসব রোগ হয় সেগুলো হয় জীবনব্যাপী। যেমন ধরুন ডায়াবেটিস একবার হলো ইনসুলিনের ঘাটতির জন্য তাকে সারাজীবন ডায়াবেটিসে ভুগতে হবে। ধরুন একজনের পিটুইটারি গ্লান্ড কাজ করছে না ফলে তার অনেকগুলো হরমোন একসাথে কমে গেলো ফলে বাইরে থেকে এসব হরমোন সারা জীবন সরবরাহ করে এর অভাব পূরণ করতে হবে। সামগ্রিকভাবে যদি এবিষয়গুলোর দিকে আমরা একটু নজর দেই তাহলে দেহের যে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বজায় রাখার জন্য স্বাভাবিক হরমোনাল অ্যাক্টিভিটির দিকে লক্ষ্য রাখব। কম হলে বা বেশি হলে আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। অবশ্য দেহে হরমোন কম বা বেশি হলে তার চিকিতসা করে আমরা স্বাভাবিক থাকতে পারি।
Nice posts! 🙂
___
Sanny
Look my site is good
___
http://davesdevotional.org
Look my site is good
___
http://afcmarseille.com
http://afcmarseille.com