টিটেনাস (ধনুষ্টংকার) থেকে রক্ষ পাওয়ার জন্য টিটি টিকা নিতে হয়। টিটেনাস বা ধনুষ্টংকার রোগ একটি ঘাতক ব্যাধি এতে কোনও সন্দেহ নেই। এ রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়ে। আমাদের দেশে প্রতিবছর গড়ে বিশ থেকে পঁচিশ হাজার লোক শুধু এ-রোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যায়। ধনুষ্টংকার হয় Clostridium tetani নামক ব্যাকটেরিয়া দিয়ে।
আমাদের দেশে অনেক মহিলা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্তান জন্ম দেন। ফলে মা ও শিশুর ধনুষ্টংকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাচ্চার নাড়ি কাটার সময় জীবাণুমুক্ত ব্লেড ও সুতা ব্যবহার না করলে ধনুষ্টংকারের জীবাণু শরীরে ঢুকে যায় এবং রোগে নবজাত শিশু মারা যায়। এসব কারণে সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সী সব মহিলার এ টিকা নেয়া উচিৎ।
সারাজীবনে মেয়েদের মত ছেলেদেরও ৫ বার টিটি টিকা নেয়া উচিৎ। যে-কোন ব্যক্তিরই যে-কোন মুহূর্তে কাটা ছেঁড়ার মাধ্যমে ধনুষ্টংকারের জীবাণু দেহে প্রবেশ করে ধনুষ্টংকার হতে পারে। যেহেতু আমাদের দেশে অনেক নবজাত শিশু ধনুষ্টংকার রোগে মারা যায়, তাই ১৫-৪৯ বছর বয়সী সব মেয়েদের টিটি টিকার দেয়ার জন্য সরকারী বেসরকারি কর্মসূচি রয়েছে।
সারাজীবনে ৫ বার টিটি টিকা নিতে হয়। এ টিকা যে-কোন সময়ে নেয়া যায়। তবে সরকারী কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স থেকে টিকা দেয়া শুরু করতে হয় এবং নীচের সময়সূচি অনুযায়ী সারাজীবনে ৫ বার টিটি টিকা দিতে হয়। পুরা ডোজ শেষ করতে মোট ২ বছর ৭ মাস সময় লাগে।
কুসুম শিকদার জানালো তার নামে রিউমার ছড়ানো হচ্ছে
কখন টিটি দিতে হবে
টিটি ১ম ডোজ ১৫ বছর পূর্ণ হবার পর অথবা গর্ভবতী হলে ৪র্থ মাস থেকে।
টিটি ২য় ডোস টিটি ১ম ডোস দেয়ার ৪ সপ্তাহ পর।
টিটি ৩য় ডোস টিটি ২য় ডোস দেয়ার ৬ মাস পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়।
টিটি ৪র্থ ডোস টিটি ৩য় ডোস দেয়ার ১ বছর পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়।
টিটি ৫ম ডোজ টিটি ৪র্থ ডোস দেয়ার ১ বছর পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়।
টিটেনাস বা ধনুস্টংকার কি, কেন হয়, লক্ষণ কি এবং তার চিকিৎসা
সূত্রঃ স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন
Pingback: নারীর জন্য টিটি টিকা | NariBangla
Pingback: টিটেনাস বা ধনুস্টংকার কি, কেন হয়, লক্ষণ কি এবং তার চিকিৎসা | NariBangla
Nice posts! 🙂
___
Sanny
Look my site is good
___
http://davesdevotional.org
http://afcmarseille.com