oporazita – NariBangla
NariBangla » Blog Archives

Author Archives: oporazita

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – কি খাবেন আর কি খাবেন না

গর্ভবতী মায়েরা প্রায় সব সময় দ্বিধায় থাকেন কী খাবেন আর কি খাবেন না, এ নিয়ে। অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন বাড়তি ওজন নিয়েও। তাই আমাদের আজকের বিষয় – গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- কি খাবেন আর কি খাবেন না।

গর্ভবতী মায়েদের মনে রাখা উচিত গর্ভের সন্তান পুষ্টি পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অনাগত সন্তান আর মায়ের ভবিষ্যৎ সুস্থতাও অনেক ক্ষেত্রে গর্ভকালীন খাবারের ওপর নির্ভর করে। প্রকৃতপক্ষে সুস্থ মা-ই পারেন সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে। এ কারণে গর্ভবতী মায়েদের শরীরের যত্ন নিতে পুষ্টিবিদরা সব সময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাঁর খাবার যেমন পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যপ্রদ হবে, তেমনি তাঁকে নিজের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। যে খাবার খাবেন তাও যথাযথ পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত হতে হবে, যাতে কোনো সংক্রামক ব্যাধিতে তিনি আক্রান্ত না হন।

প্রেগন্যান্সির ১০ লক্ষণ জানাবে আপনি গর্ভবতী

বিভিন্ন সময় পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্য ঘাটতিতে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের সন্তান হয় ওজনে কম ও লম্বায় ছোট। বহু ক্ষেত্রে গর্ভেই সন্তান মরে যায়, জন্মের কিছু সময় পর সন্তান মৃত্যুমুখে পতিত হয়, গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে, সময় হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম হয়ে যায়, ফলে শিশু থাকে অপরিণত। [ সুত্রঃ কালের কন্ঠ ]

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- প্রচলিত ধারণা

বাংলাদেশে গর্ভবতী মায়েদের খাবার নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি যেমন আছে, তেমনি অজ্ঞতার ফলেও অনেকের পক্ষে উপযুক্ত খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না।

বহু মানুষের ধারণা, মা যদি বেশি খাবার খায় তাহলে গর্ভের সন্তান আকারে বড় হবে। তখন স্বাভাবিক ডেলিভারি সম্ভব হবে না। তাই গর্ভবতী মাকে কম খেতে দেওয়া হয়। যা মা ও শিশুর জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আবার অনেকের মতে, একজন গর্ভবতী মাকে দুজনের খাবার খাওয়া উচিত। এটাও ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে। অতিরিক্ত ওজনের মায়েদের ক্ষেত্রে মৃত সন্তান অথবা ছোট শিশুর জন্মদানের ঘটনা বেশি। তবে খাবার যেমনই হোক না কেন, সেটা হতে হবে পুষ্টিকর। এ জন্য প্রতিদিনের খাবারে খাদ্যের সব কয়টি উপাদানের উপস্থিতি থাকতে হবে।

জরায়ু বড় হয় কেন, সমাধান কি?

গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকা এমন হওয়া উচিত যেন তা নিম্নোক্ত চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে।

ক) মায়ের ভালো স্বাস্থ্য রক্ষা

খ) বাচ্চার সঠিক বেড়ে ওঠা

গ) প্রসবের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি যোগানো

ঘ) এবং প্রসব পরবর্তীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বুকের দুধ সরবরাহ করা

টিটেনাস বা ধনুস্টংকার কি, কেন হয়, লক্ষণ কি এবং তার সমাধান

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- কি খাবেন

গর্ভবতী মায়ের যে খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ:

প্রোটিন বা আমিষ
প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে দৈনিক ৯০-১০০ গ্রাম। অর্থাৎ অন্য ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি। এই পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায় মাঝারি আকারে তিন টুকরা মাংস থেকে। প্রোটিন আসতে পারে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম, শিমের বিচি থেকে। প্রোটিন গর্ভস্থ শিশুর কোষ ও মস্তিষ্কের সঠিক গঠনে সহায়তা করে। মায়ের স্তনকোষ বাড়ায়। শ্রোণিচক্রকে সন্তান জন্মদানে উপযোগী করে।

ফ্যাট বা চর্বি
চর্বিজাতীয় খাবার শক্তির ভালো উৎস। এগুলো চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনকে কাজে লাগায়। আর এসব ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে। চর্বি পাওয়া যায় ঘি, মাখন, তেল, মাংসের চর্বি থেকে।

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা
শর্করাজাতীয় খাবারও শরীরে শক্তি জোগায়। শর্করা পাওয়া যায় ভাত, রুটি, চিঁড়া, মুড়ি, খই, আলু, চিনি, মিষ্টি ও গুড় থেকে। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলতে হবে।

ক্যালসিয়াম
নবজাত শিশুর হাড় গঠনের জন্য গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে খাবারে ক্যালসিয়াম বেশি আছে এমন খাদ্য বাড়াতে হবে। দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে দুধ বেশি খেতে না পারলে ডাল, ছোট মাছ ইত্যাদি খেয়েও ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটানো যায়। গর্ভকালীন দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

ভিটামিন
ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘বি কমপ্লেক্স’ শিশুর দেহ গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গর্ভকালীন রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে বলে গর্ভের শেষদিকে ভিটামিন ‘কে’ খুবই প্রয়োজন। শিশুর হাড় গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন। কারণ এই ভিটামিন খাদ্যের ক্যালসিয়ামকে শোষণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘সি’ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই প্রয়োজন তাঁর নিজের ত্বক ও নবজাতকের ত্বক এবং চুলের জন্য। যেসব খাবার থেকে এ ধরনের ভিটামিন পাওয়া যাবে সেগুলো হলো দুধ, মাখন, ডিম, ছানা, কডলিভার অয়েল, ইলিশ মাছ, টমেটো, গাজর, পালংশাক, বিট, লালশাক, মাংস, বিভিন্ন ধরনের ডাল, আলু ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি যেমন কমলালেবু, টমেটো, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আমলকী, পেয়ারা, বরই ইত্যাদি থেকে। দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত।

গর্ভপাত কি এবং গর্ভপাত কেন হয়?

লৌহ ও ফলিক এসিড
গর্ভ ধারণের আগেই ফলিক এসিড ও লৌহসমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া উচিত। কারণ গর্ভকালীন এই দুটির ঘাটতি বেশি দেখা যায়। লৌহ ও ফলিক এসিড আছে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, চালতা, গুড়, কলিজা, পাকা কলা, খেজুর, আম, টমেটো, তরমুজ, সবুজ শাকসবজি, কালো কচুর শাক ইত্যাদিতে। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাসে প্রতিদিন ৬০০ মাইক্রো গ্রাম ফলিক এসিড ও ২৭ মিলিগ্রাম লৌহ প্রয়োজন।

ক্যালরি
গর্ভবতী মায়েদের ক্যালরির প্রয়োজন অন্যদের চেয়ে বেশি। এ জন্য প্রথম তিন মাসে খেতে হবে গর্ভ ধারণের আগে প্রতিদিন যতটুকু ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়েছেন ততটুকুই। পরবর্তী তিন মাসে প্রয়োজন দৈনিক অতিরিক্ত ৩০০ ক্যালরি এবং শেষ তিন মাসে প্রয়োজন দৈনিক আরো ২০০ ক্যালরি। সুতরাং প্রথমে তিনি যদি ১৪০০ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতেন, তাহলে তাঁকে দিতে হবে দ্বিতীয় তিন মাসে ১৪০০+৩০০=১৭০০ ক্যালরি, পরবর্তী তিন মাসে দিতে হবে ১৭০০+২০০=১৯০০ ক্যালেরিসমৃদ্ধ খাবার। যদি গর্ভবতী মা প্রথম তিন মাসে ১৬০০ ক্যালরি পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি শেষ তিন মাস পাবেন ২১০০ ক্যালরি। এই ক্যালরি বাড়ানো উচিত প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার থেকে। কারণ প্রোটিনযুক্ত খাবার দিয়েই ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটে থাকে।

গর্ভকালীন ৯ মাসে মোট ওজন বাড়া উচিত ১০ থেকে ১২ কেজি। এর চেয়ে বেশি বাড়লে সুস্থ সন্তান জন্মদানে যেমন প্রতিকূলতা দেখা দিতে পারে, তেমনি পরবর্তী সময়ে মায়ের ওজন স্বাভাবিকে ফিরিয়ে আনাও কঠিন হবে। তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

যাদের ওজন আগে থেকেই বেশি তাদের গর্ভকালীন ওজন পাঁচ থেকে আট কেজি পর্যন্ত বাড়তে পারে। যাদের ওজন আগে থেকে অনেক কম তাদের ওজন ১৫ কেজি পর্যন্ত বাড়লে ক্ষতি নেই।

গর্ভাবস্থায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মায়েদের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে দেখা দেয় রক্তস্বল্পতা। কারণ এ সময় গর্ভস্থ শিশুর দেহে লৌহের চাহিদা মেটানোর পর মায়ের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে দেখা যায়। বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ গর্ভবতী কোনো না কোনো মাত্রায় রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন। রক্তস্বল্পতার ফলে দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ বা ক্লান্তি, বুক ধড়ফড় করা, মাথাঘোরা ইত্যাদি দেখা যায়। কলিজা, ডিমের কুসুম, মাংস, কালো ও সবুজ কচুর শাক, বিট, লেটুসপাতা, হলুদ ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এ ছাড়া প্রতিদিনই একটি বা দুটি টক ফল খাওয়া ভালো।

কিভাবে যমজ সন্তান জন্ম হয়? কেন তারা দেখতে একই রকম বা ভিন্ন হয়?

গর্ভবতী মায়ের ট্রাইমিস্টার অনুযায়ী খাদ্য তালিকা

গর্ভাবস্থা সাধারণত ৯ মাসের কিছু বেশি দিন থাকে। এই ৯ মাসকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ৩ মাস কে ফার্স্ট ট্রাইমিস্টার, দ্বিতীয় ৩ মাসকে অর্থাত্‍ ৪-৬ মাস কে সেকেন্ড ট্রাইমিস্টার এবং ৬ মাসের পর থেকে বাচ্চা জন্মের আগ পর্যন্ত সময়কে থার্ড ট্রাইমিস্টার বলে। ট্রাইমিস্টারের গুরুত্ব অনেক। একেক ট্রাইমিস্টারে শিশুর গ্রোথ বা গঠন একেক রকম। তাই ট্রাইমিস্টার অনুযায়ী খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। নিচে এ বিষয়ে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হলো।

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – প্রথম তিন মাস দৈনিক ১৬০০ ক্যালরিঃ

সকালের নাশতা

  • রুটি/পাউরুটি-৬০ গ্রাম=২ পিস
  • ডিম-একটা/ডাল-১০ গ্রাম
  • সবজি ইচ্ছামতো।

সকাল ১০-১১টা

  • মুড়ি/বিস্কুট/কেক ইত্যাদি-৬০ গ্রাম+ফল

দুপুরের খাবার

  • ভাত-দুই কাপ=২৪০ গ্রাম
  • মাছ/মাংস-৬০ গ্রাম
  • ডাল-আধা কাপ, মাঝারি ঘন
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

বিকেলের নাশতা

  • নুডলস/ছোলামুড়ি/সেমাই ইত্যাদি-৩০ গ্রাম

রাতের খাবার

  • দুপুরের মতো।

শোয়ার আগে

  • দুধ-১ কাপ

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – দ্বিতীয় তিন মাস দৈনিক ১৯০০ ক্যালরি

সকালের নাশতা

  • রুটি/পাউরুটি-৯০ গ্রাম=৩ পিস
  • ডিম-১টা/মাংস-২ টুকরা
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

সকাল ১০-১১টা

  • দুধ-১ কাপ
  • বিস্কুট/মুড়ি/নুডলস ইত্যাদি-৩০ গ্রাম+ফল

দুপুরের খাবার

  • ভাত-৩০০ গ্রাম=আড়াই কাপ
  • মাছ/মাংস-৮০ গ্রাম
  • ডাল-১ কাপ, সবজি-ইচ্ছামতো।

বিকেলের নাশতা

  • সেমাই/নুডলস/ছোলামুড়ি/কেক ইত্যাদি-৪০ গ্রাম

রাতের খাবার

  • দুপুরের মতো।

শোয়ার আগে : দুধ-১ গ্লাস

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – শেষ তিন মাস দৈনিক ২১০০ ক্যালরি

সকালের নাশতা

  • রুটি/পাউরুটি-১২০ গ্রাম=৪ পিস
  • ডিম-১টা
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

সকাল ১০-১১টা

  • দুধ-১ কাপ
  • যেকোনো নাশতা-৬০ গ্রাম+ফল

দুপুরের খাবার

  • ভাত-৩৬০ গ্রাম=৩ কাপ
  • মাছ/মাংস-১০০ গ্রাম
  • ডাল-১ কাপ, ঘন
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

বিকেলের নাশতা

  • দুধ অথবা দুধের তৈরি নাশতা-৬০
  • গ্রাম অথবা ডালের তৈরি নাশতা।

রাতের খাবার

  • দুপুরের মতো।

শোয়ার আগে : দুধ-১ গ্লাস।

এখানে আমরা উদাহরণসরূপ কিছু আদর্শ খাবার রুটিনের কথা বলব। তবে আপনার বয়স, শারীরিক অবস্থা, ওজন ইত্যাদি বিবেচনা করে ভাল ডায়েট সাজেশন অবশ্যই আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেবেন।

যে সব খাবার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- কি খাবেন না

গর্ভবতী মায়ের যে খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ নয় :

কাঁচা ডিম
ডিম পুষ্টিকর একটি খাবার। অনেকেরই কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কাঁচা ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়া যাবেনা।

অর্ধসিদ্ধ মাংস
অর্ধসিদ্ধ মাংসে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। প্যাকেটজাত মাংস যেমন- সসেজ খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। মাংস ভালো ভাবে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।

অপাস্তুরিত দুধ
অপাস্তুরিত দুধ বা কাঁচা দুধে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ভালো করে না ফুটিয়ে দুধ পান করা যাবেনা। অপাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি খাবার যেমন- নরম পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কলিজা ও কলিজার তৈরি খাবার
লিভারে রেটিনল থাকে যা একটি প্রাণীজ ভিটামিন এ। এর অতিরিক্ততা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ক্যাফেইন
কফি ক্লান্তি দূর করার জন্য কার্যকর হলেও গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণ কম করতে হবে। চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে। দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম গ্রহণ করে। মিসক্যারেজের মত ঘটনাও ঘটতে পারে।

সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে।

কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপদজনক। এতে গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে।

যে লক্ষনগুলো জানাবে আপনি প্রেগনেন্ট কিনা

সহজে ব্ল্যাকহেডস দূর করার ১৩ টি ঘরোয়া উপায়

জীবনানন্দের স্ত্রীর চরিত্রে জয়া আহসান

Published by:

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ

ক্যান্সারে আক্রান্ত বাঙ্গালি নারীদের এক-চতুর্থাংশ জরায়ুর ক্যান্সারে ভুগছেন। আমাদের দেশে নারীরা সাধারণত এসব সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করতে চায় না। ফলে ক্যান্সার ধীরে ধীরে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সাধারনত লাসিকা ও রক্তের মাধ্যমে তা লিভার, ফুসফুস ও মস্তিষ্কে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ সময়ই জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্তরা এমন সময়ে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন যে তখন আর কিছুই করার থাকে না। ফলে জীবনঘাতী এই ক্যান্সার কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণ।

হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস

হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস মূলত জরায়ু ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের অনেক গুলো ধরন রয়েছে।  তবে এর মধ্যে ৪০ ধরনের হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস ছড়ায় যৌনতার মাধ্যমে। এখানে জানা থাকা দরকার এই ভাইরাস শুধু মাত্র যৌন মিলনের মাধ্যমেই ছড়ায়না। জেনিটিকাল এবং মুখ দিয়ে যৌনাংগ স্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।

আরো যেসব কারণে জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ে-

  • বাল্যবিবাহ
  • জন্মনিয়ন্ত্রন পিল (অনেক দিন ধরে খেলে, ৫ বছর বা তার বেশী)
  • ধুমপান, সিগেরেটে এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা জরায়ু থাকা কোষ গুলোকে নষ্ট করে ঝুকি বাড়ায়

জরায়ু ক্যান্সারের ঝুকি বেশী থাকে যাদের বয়্যস বেশী এমন নারীদের, বিশেষ করে যাদের বয়স ৩৫ বা তার বেশী।

জরায়ু কি ও সন্তান জন্মদানে জরায়ুর কাজ কি?

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ:

চলুন জেনে নেই কি কি কারণে জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ে-

  • বাল্যবিবাহ জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ায়। তাই ১৮ বছরের কম বয়সে বিবাহ করা উচিৎ নয়। বিয়ে ছাড়াও কম বয়সে যৌন মিলনের কারনে ঝুকি বাড়তে পারে।
  • কম বয়সে সন্তানের মা হলে, বিশেষ করে ২০ বছরের কম বয়সে গর্ভধারণ করলে  এই ঝুকি বাড়ে।
  • কম সময়ের ব্যবধানে মা হলে, বেশী সন্তান প্রসবের কারনে
  • একাধিক পুরুষের সাথে যৌন মিলনের কারনে।
  • পরিচ্ছনতার অভাবে, যৌনাংগ অপরিচ্ছন্ন রাখার কারনে।
  • ঘন ঘন যৌন রোগ হলে, জীবানু দ্বারা যৌনাংগ ঘন ঘন আক্রান্ত হলে জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ে।

জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ

জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ:

জরায়ু ক্যন্সারের লক্ষণ প্রথম দিকে দেখা নাও দিতে পারে। তাই প্রতি দুই তিন বছরে এক বার করে বিশেষজ্ঞ দিয়ে যৌনাংগ পরিক্ষা করা দরকার। যখন লক্ষন দেখা দেয়, তখন আপনি নিচের লক্ষন গুলো পেতে পারেন –

  • এক মাসিক থেকে আরেক মাসিকের মাঝে হালকা রক্তপাত হতে পারে
  • পিরিওডের সময় ব্লিডিং বেশী পরিমানে হতে পারে, অনেক দিন ধরে হতে পারে
  • যৌন মিলনের পর ব্যাথা অনুভব হতে পারে
  • পিরিওড শেষ হবার পরও ব্লিডিং হতে পারে
  • পিরিওড অনিয়মিত হতে পারে
  • বয়সের সাথে সাথে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া।
  • যৌন মিলনের পর রক্ত যাওয়া
  • যৌনাংগে বাদামি রংগের বা রক্তযুক্ত স্রাবের আধিক্য দেখা দেওয়া
  • সাদা দুর্গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব হওয়া।

জরায়ু বড় হয় কেন, হলে কি করবেন?

জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিকার:

জরায়ু ক্যন্সার থেকে বাচতে হলে আপনার রোগটা যাতে না হয় সে দিকে বেশী মনযোগ দেয়া উচিৎ। বিশেষ করে আমাদের দেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগ হয়েছে জানতে পারেন একেবারে শেষের দিকে। তখন আর তেমন কিছু করার থাকেনা। তাই রোগটা যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ রাখা জরুরী। যৌনাজ্ঞ পরিষ্কার রাখুন, একাধিক পুরুষের সাথে যৌন মিলন এড়িয়ে চলুন, প্রাপ্ত বয়সের আগে যৌন মিলন করা থেকে বিরত থাকুন, নিয়মিত বিষেশজ্ঞ দিয়ে যৌন পথ পরিক্ষা করুন।

জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি?

জরায়ু ক্যান্সার হলে কি করবেন:

  • দ্রুত বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন

প্রতিরোধঃ

  • প্রতি তিনবছর অন্তর স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে জরায়ু-মুখ অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে।
  • ৩০ বছরের বেশি বয়স হলেই জরায়ু-মুখ অবশ্যই  পরীক্ষা করাতে হবে৷ তবে ১৮ বছরের পূর্বে  এবং বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৫ বছর বয়স হলেই জরায়ু মুখ পরীক্ষা করাতে হবে।

জেনে নিন মাসিক বা পিরিয়ড কেনো হয়

সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই একে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সাদা স্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

Published by:

সাদা স্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

যৌন স্রাব আপনাকে জানান দেয় যে আপনার যৌনি সুস্থ আছে। আপনার মাসিক চক্রের বিভিন্ন সময়ে আপনি এই যৌন স্রাবের বিভিন্ন প্রকার দেখতে পারেন। আর অধিকাংশ প্রকারের যৌন স্রাব আপনাকে জানিয়ে দেয় সব কিছু ঠিক ঠাক আছে, আপনার যৌনি সুস্থ আছে। তবে কখনো কখনো সাদা স্রাব আপনার আসুস্থতার লক্ষন হিসাবে দেখা দেয়। আর আজকে আমরা সাদা স্রাব হওয়ার কারণ ও এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করবো।

সাদা স্রাব বা লিকোরিয়া কি?

পানির মতো তরল পিচ্ছিল স্বচ্ছ সাদা পদার্থ যা মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে আসে। এটা জরায়ু ও যোনিপথের সাধারণ নিঃসরণ যাতে মরা কোষ ও কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। এটি এক ধরনের অম্ল (অপরফরপ) নিঃসরণ।
মহিলাদের সন্তান প্রসব হওয়ার যে (পথ বা রাস্তা) সে পথে এক প্রকার ঘন স্রাব হওয়াকে প্রদর বা লিকোরিয়া বলে। মনে রাখবেন- ইহা কোন রোগ নয়, সাদা স্রাব বা লিকোরিয়া রোগের লক্ষন বা উপসর্গ মাত্র।

সাদাস্রাবের পরিমাণ নারীর জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হতে পারে। বিশেষ কিছু সময়ে যেমন, যৌন ভাবনা বা উত্তেজনার সময়, ডিম্ব প্রস্ফুটনের সময় (ঋতুচক্রের মাঝামাঝি সময়), মাসিকের আগে ও পরে, গর্ভকালীন সময় ও সদ্য ভূমিষ্ঠ মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে একটু বেশি নিঃসরণ এতটাই স্বাভাবিক যে এটা আপনার যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের সুস্থতাকেই ইঙ্গিত করে। তবে এই নিঃসরণের স্বাভাবিক মান বজায় রাখা জরুরি, নতুবা তা অস্বাভাবিক সাদা স্রাবে রূপান্তরিত হতে পারে।

অনেক মহিলাদের বিয়ের আগে ও পরে এই রোগ হয়। কিন্তু অনেকে লজ্জায় বা অবহেলা করে নিজের নিকট তা লুকিয়ে রাখে। অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্বও দেয়না। তবে ইদানিং মহিলাদের শিক্ষিত হার বেড়ে যাওয়াতে অনেক সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। এখন একে অন্যের নিকট বিভিন্ন সমস্যার কথা শেয়ার করে। যার কারনে এখন অনেকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছেন ।

অস্বাভাবিক সাদাস্রাব

যে স্রাব নিঃসরণে অস্বসিত্ম বোধ হয় যেমন;
১. বেশি পরিমাণ নিঃসরণ যাতে পরনের কাপড়, পেটিকোট, পাজামা বা প্যান্টি বেশি ভিজে যায়।
২. নিঃসরণের সাথে যোনিপথ ও আশেপাশের অংশ চুলকায়।
৩. নিঃসরণের সাথে দুর্গন্ধ বের হয়।
৪. নিঃসরণ স্বচ্ছ সাদা, তরল ও পিচ্ছিলের পরিবর্তে বাদামী, সবুজ, হলুদ বা ঘন সাদা থকথকে হয়।
৫. ফেনাসাদা বা চাল ধোয়া পানির মতো তরল পদার্থ বের হয়।

জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ

কেন সাদা স্রাব হয়

সাদা স্রাব হওয়ার পিছনে অনেক গুলো কারন জড়িত।

০১। প্রধান কারন হল ইনফেকশন। মহিলাদের জরায়ু “ওপেন অরগ্যান” উন্মুক্ত অংগ গুলোর মধ্যে একটি। যেহেতু জরায়ু উন্মুক্ত থাকে, তাই যে কোন ভাবে এইখানে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

২। মলদ্বার বা পায়ুদেশ থেকে জীবানু আসিয়া খুব সহজেই জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে।

৩। পুরুষের মাধ্যমেও এই রোগ হতে পারে। ট্রাইকোমানো এবং মোনালিয়া এই দু’টি ইনফেকশন যৌন রোগের জীবানু বহনকারী পুরুষের মাধ্যমে স্ত্রীলোকদের মধ্যে সংক্রমিত হয়।

৪। মোনালিয়া জীবানু দ্বারা আক্রান্ত জরায়ুতে চুলকানি হয় এবং ব্যথা করে। ঘন হলুদের মত স্রাব হয়।

৫। ট্রাইকোমানো জীবানু দ্বরা আক্রান্ত জরায়ুতে জ্বালাভাব থাকে, চুলকানি হয়, জরায়ু একটু ফুলিয়া যায়, লালচে হয়ে যায়। ফেনাটে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয়।

৬। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ও উপযুক্ত পরিবেশের অভাবের কারনে এই রোগ হতে পারে।

৭। জম্ম নিরোধক বড়ি হতেও হতে পারে।

৮। ঋতুস্রাবের পরবর্তী প্রযায়ে গর্ভপাত করালে, ইত্যাদি কারনে হতে পারে।

৯। মেয়েদের বা মহিলাদের মাসিক বা ঋতুচক্র আরম্ভ হলে অনেকে ময়লা অপরিষ্কার নেকরা বা কাপড় কিংবা অপরিষ্কার পেন্টি ব্যবহার করেন। যার কারনে জরায়ুতে ইনফেকশান হয়ে এই রোগ হয়।

১০। মানসিক রোগ হতেও লিকোরিয়া বা সাদা স্রাব হতে পারে।

১১। শরীরের যক্ষ্মা, রক্তহীনতা, ভিটামিনের অভাবে এই রোগ হতে পারে

১২। হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন

১৩। বৃদ্ধ বয়সে শরীরের চামড়া শুকাইয়া যায়, কুচকাইয়া যায়। সে সময় জরায়ু শুকাইয়া গেলে এই রোগ হতে পারে।

জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি?

সাদা স্রাব রোধে পরামর্শ

১। সহবাসের পর যেসব মহিলাদের লালচে বা গোলাপি স্রাব হয়, তাহাদের খুব শীগ্রি ডাক্তারের নিকট যাওয়া উচিৎ। এমনকি যদি দু’টি পিরিয়ডের মাঝখনে পিংক ডিসচার্জ হয় তাহলেও ডাক্তার দেখাতে হবে। যদি পিরিয়ডের মাঝামাঝি সময়ে পানির মত পাতলা স্রাব হয়, তাহলে ভয়ের কিছু নাই।

২। এই রোগের থেকে পরিত্রান (বিবাহিত হলে) স্বামী স্ত্রী দু’জনকে একসাথে করতে হবে। কেননা স্বামীর নিকট থেকে প্রবত্তীতে আবার স্ত্রী ইনফেকশন হতে পারে।

৩। সংক্রমণ এড়াইতে হইলে একটাই উপায়- তা হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

৪। মাসিক বা ঋতুচক্রে পরিষ্কার জীবানুমুক্ত (ডেটল বা সেবলন) দিয়ে কিংবা ভালভাবে সাবান দিয়ে পেন্টি বা কাপড় জীবানুমুক্ত করে তা ব্যবহার করতে হবে।

৬। প্রদর বা সাদা স্রাব যাওয়া অবস্থায় কোন প্রকার মিলন বা সহবাস করা যাবেনা।

৭। পুষ্টিকর বা বল বৃদ্ধিকারক খাবার খাইতে হইবে।

৮। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম করতে হবে।

৯। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির কারণে হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বন্ধ রাখতে হবে।

মাসিকের আগে, পরে, মাঝখানে এবং গর্ভাবস্থায় সাদাস্রাব হবে। তবে এটা যদি এমন হয় তার পোশাক ভিজে যাচ্ছে- তবে তাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কিংবা কোনো গন্ধ হচ্ছে বা চুলকানি হচ্ছে তখন অবশ্যই চিকিৎসা লাগবে। এ ছাড়া বলি স্বাস্থ্য ভালো করো। যদি সাদাস্রাব বেশি হয় অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

গর্ভপাত কি এবং গর্ভপাত কেন হয়?

রোগীর কিছু জিনিস দেখতে হবে। চুলকানি আছে কি না জানতে হবে। তার জ্বালাপোড়া হচ্ছে কি না বুঝতে হবে। সাদাস্রাবে গন্ধ আছে কি না দেখতে হবে। পরিমাণ বুঝতে হবে। 
Published by:

জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি?

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া কোন বিরল সমস্যা নয়। মেয়েদের জীবনকালের কোন না কোন সময় , নিজের বা কাছের কারো জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই জরায়ু নিচে নেমে গেছে শুনলে চমকে উঠবেন না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে জরায়ু নিচের দিকে নেমে যায়। একে ইউটেরাল প্রলাপস বা পদ্মরোগও বলা হয়। জরায়ু কেন নিচে নেমে যায়, জানা থাকলে নিজের যেমন যত্ন নিতে পারবেন, সেই সাথে কাছের মানুষের উপকারে আসতে পারবেন।

জরায়ু পেটের নিচের দিকের অংশে (পেলভিসে) আটকে থাকে কিছু মাংস, লিগামেন্ট এবং অন্যান্য কিছু সাপোর্ট দিয়ে। জন্মগত ও জন্মের পরের কিছু কারণে এই মাংস ঝুলে যেতে পারে। বয়সের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি হতে থাকে। তখন অনেক মহিলার জরায়ু মুখ যোনির দিকে নেমে আসে। যার ফলে প্রলাপস হয়।

জরায়ু কি ও সন্তান জন্মদানে জরায়ুর কাজ কি?

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ সমূহঃ

১। জন্মগতঃ যেসব মাংস পেশি জরায়ুকে সঠিক স্থানে ধরে রাখে , তাদের কারো জন্মগত দুর্বলতা থেকে থাকে।

২। জন্মের পরঃ জন্মের পরের বলতে এক্ষেত্রে আমরা সন্তান ধারণের সময়টাকেই বুঝি । সন্তান জন্মধারণের পরে বেশ কিছু কারণে প্রলাপস হতে পারে। জরায়ুমুখ সম্পূর্ণ রকমে খোলার আগেই যদি চাপ দেয়া হয়, অতিরিক্ত টানাটানির কারণে হতে পারে। ডেলিভারি বিলম্বিত হলে, প্লাসেন্টা বের করার জন্যে জরায়ুতে নিচের দিকে অতিরিক্ত চাপ দিলে। অনেক বেশি সন্তান ধারণের ফলে হয়। মা খালা দের মধ্যে যাদের চার – পাঁচ টা নরমাল ডেলিভারি হয়েছে খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের প্রায় সবারই একটু হলেও এই সমস্যাটা আছেই । বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাংস পেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে আসতে থাকে। হরমোনাল সাপোর্টের অভাবও একটি বড় কারণ।

প্রলাপসকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

১। প্রথম ডিগ্রিঃ জরায়ু মুখ তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে কিছুটা নিচে নেমে আসে। কিন্তু যোনি ছিদ্রের বাইরে অবস্থান করে না।

২। দ্বিতীয় ডিগ্রিঃ জরায়ু মুখ যোনি ছিদ্রের বাইরে বের হয়ে আসে। কিন্তু জরায়ুর শরীরের বেশির ভাগ অংশই ভিতরে থেকে যায়। সবসময় বেরও হয়ে আসে না। কাশি দিলে, প্রস্রাব করতে গেলে বের হয় আসে। এমন কি বের হলেও হাত দিয়ে ঢুকিয়ে ফেলা যায়।

৩। তৃতীয় ডিগ্রিঃ জরায়ু মুখ তার শরীর সহ সম্পূর্ণ রূপে বাইরে বের হয়ে আসে এবং আর ভিতরে ঢুকানো যায় না ফলে প্রস্রাব ও পায়খানা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই স্টেজে গেলে অপারেশন করা অতিশয় জরুরী হয়ে দাঁড়ায়।

জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ ও সমাধান

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার লক্ষণ:

যখন প্রলাপস প্রতীয়মান হয়, ভ্যাজাইনার মধ্যে ভারী কিছু অনুভূত হয়। তলপেটে ভারী ভারী লাগবে। কোমরে ব্যথা হয়, পিঠে ব্যথা হয়।
১। মনে হবে যেন পেটের ভিতরটা ভরে আছে বা চাপ অনুভব করবেন ঠিক যেন ছোট্ট একটি বলের উপর বসে আছেন,

২। কোন কিছু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার মত অনুভূতি হতে পারে,

৩। পিঠে ব্যথা ,

৪। হাঁটতে কষ্ট হওয়া,

৫। প্রস্রাব বা পায়খানা করতে সমস্যা হওয়া।

৬। যৌন মিলনে ব্যথা পাওয়া।

ভারী কাজ করলে অনেক সময় অবিবাহিত মেয়েদেরও প্রলাপস হতে পারে। সুতরাং এ রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার সমাধান

মাংস পেশি কতটা দুর্বল সেটার উপর নির্ভর করে ডাক্তার সমাধান দিবে। অনেক ক্ষেত্রে এক্সারসাইজ করলে পেলভিক মাংস গুলো আবার শক্তিশালী হয়।

বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক কিনা তার উপর নির্ভর করে জরায়ুর আশেপাশের কাঠামো ঠিক করা এমনকি জরায়ু সম্পূর্ণ রূপে ফেলে দিতে হতে পারে। সাধারণত পেট কেটে জরায়ু ফেলা হয়। কিন্তু যোনি দিয়ে জরায়ু বেরিয়ে আসলে যোনিপথেও অপারেশন করা হয়। পাশাপাশি যোনি দেয়াল, মুত্রথলি, মূত্র নালির ঝুলে পড়াও অপারেশনের সময় ঠিক করে দেয়া হয়।

জরায়ু বড় হয় কেন, সমাধান কি?

আমাদের দেশের বয়স্ক মহিলারা এই সমস্যায় বেশি পড়েন। তাদের মধ্যে অনেকেই অবহেলা ও অযত্নের আশঙ্কায় বলতে চায় না কাউকে এমনকি নিজের পরিবার থেকেও অনেক সময় লুকিয়ে রাখে। আপনার কাছের কেউ যদি এই রোগে ভুগে থাকেন তবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। অনেক বয়স হলেও বড় কোন শারীরিক সমস্যা না থাকলে অপারেশন করা যায়। বয়স হয়ে গিয়েছে ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়। শেষ বয়সে এসে প্রস্রাব, পায়খানার কষ্ট কেউই চায় না। সচেতনতাই স্বস্তি।

Published by:

জরায়ু বড় হয় কেন, সমাধান কি?

জরায়ু বড় হওয়া নিয়ে অনেক নারীই চিন্তিত থাকেন। আমাদের কাছে অনেক নারীই জরায়ু বড় হওয়ার সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো জরায়ু বড় হওয়ার কারন কি এবং এর সমাধান কি?

জরায়ু একটি নারীর অবিচ্ছেদ্য অংশ। যৌন জীবন থেকে শুরু করে সন্তান জন্মদানে জরায়ুর অতি প্রয়োজনীয়তা অনেক। তাই জরায়ু নিয়ে চিন্তিত হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। নিচের লিঙ্ককে ক্লিক করে প্রথমে জেনে নিন জরায়ু কি এবং সন্তান জন্মদানে এর ভুমিকা কি-

জরায়ু কি? সন্তান জন্মদানে জরায়ুর ভূমিকা কি?

একজন নারীর জরায়ুর সাইজ সাধারনত ৩/৪ ইঞ্চি বাই আড়াই ইঞ্চি হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন কারণে জরায়ু বড় হতে পারে। আমরা আজ আলোচনা করবো জরায়ু বড় হওয়ার কারন কি এবং এর সমাধান কি?

আপনার জরায়ু যদি বড় হয়ে থাকে তবে আপনি তলপেটে ভারী অনুভব করবেন, আপনার পেট বড় হয়ে যেতে পারে, তবে আবার এসব কোন লক্ষনই নাও থাকতে পারে।

জরায়ু কি? সন্তান জন্মদানে জরায়ুর ভূমিকা কি?

জরায়ু বড় হওয়ার কারন কি এবং এর সমাধান কি – জানতে পড়ুন।

জরায়ু বড় হওয়ার কারন ও উপসর্গ

বেশ কিছু কারণে জরায়ু সাধারণ সাইজের চেয়ে বড় হয়ে থাকে। প্রথমে চলুন জেনে নেই কারনগুলো কি কি?

জরায়ু বড় হওয়ার কারনঃ

  • গর্ভধারণ
  • টিউমার
  • জরায়ু আস্তরণ
  • জরায়ু ক্যন্সার

এবার চলুন এই জরায়ু বড় হওয়ার কারন গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

গর্ভধারণ

জরায়ু সাধারণত পেলভিসের মধ্যে আটকানো থাকে। আপনি যখন প্রেগনেন্ট হন, আপনার গর্ভের সন্তান আপনার জরায়ু বহুগুনে বাড়িয়ে দেয় যা কিনা একটি তরমুজের আকার ধারণ করতে পারে। তবে সন্তান প্রসবের পর সময়ের সাথে সাথে সেই জরায়ু নিজে থেকেই ছোট হতে শুরু করে।

জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি?

টিউমার

বয়ঃসন্ধি সময় থেকে একটি মেয়ের সন্তান জন্মদেয়ার ক্ষমতা তৈরি হতে শুরু করে যাকে প্রজনন ক্ষমতাও বলে। নারীর প্রজননক্ষম বয়সে জরায়ুতে ফাইব্রয়েড টিউমার বেশী হতে দেখা যায়। ৩০ বা তার বেশী বয়সী নারীদের মধ্যে এই টিউমারের প্রবনতা বেশী থাকে। তবে এটি নিরীহ জাতীর একটি টিউমার, তেমন বিপদজ্জনক নয়।

তবে ফাইব্রয়েড টিউমারের ফলে দুটি লক্ষন দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিৎ –

  1. মাত্রাতিরক্ত মাসিক হওয়া , মাসীকে রক্ত বেশী যাওয়া, যার ফলে রক্তশুন্যতা দেখা দিতে পারে।
  2. এর কারণে বন্ধ্যতে দেখা দিতে পারে।

ফাইব্রয়েড টিউমারের কারনে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারেঃ

  • জরায়ু বড় হওয়া
  • তলপেটে ব্যাথা, চাপ অনুভব করা
  • লম্বা সময় ধরে পিরিয়ড হওয়া
  • পিরিয়ডের সাথে রক্তকনা যাওয়া
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
  • ঘন ঘন মুত্র পাওয়া
  • যৌনমিলনের সময় ব্যথা অনুভব করা
  • প্রেগ্ন্যন্সিতে বা ডেলিভারিতে জটিলতা

ফাইব্রয়েড টিউমারের কারণে আপনার জরায়ু এত বড় হতে পারে যে আপনাকে প্রেগ্ন্যন্টের মতও দেখাতে পারে।

জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি?

জরায়ুর আস্তরণ

জরায়ুর আস্তরণ এমন এক অবস্থা যার ফলে জরায়ুর প্রাচীর বৃদ্ধি পায়। ডাক্তারি ভাষায় একে এন্ডমেট্রিয়াম বলে। এই অবস্থা তৈরি হওয়ার সঠিক কারণ অজানা। এটি একটি বরল অসুস্থতা যার ফলে জরায়ুর ভিতরের নালিকাগুলো জরায়ুর প্রাচীরের পেশীর অভ্যন্তরে জন্মায়। ৩০বছরের বেশী বয়সে মা হয়েছেন এমন নারীদের মাঝে এটি দেখা যায়।

জরায়ু আস্তরনের কারণে যে উপসর্গ দেখা দিতে পারেঃ

  • জরায়ু বড় হওয়া
  • লম্বা মাসিক হওয়া
  • মাসীকে ভারি রক্তপাত হওয়া
  • পিরউডে ব্যথা হওয়া
  • যৌনমিলনে ব্যথা হওয়া

জরায়ু ক্যান্সার

জরায়ু ক্যান্সারের কারণে বিভিন্ন প্রকার টিউমার জন্ম নিতে পারে। টিউমারের সাইজের উপর নির্ভর করে জরায়ু বড় হতে পারে।

জরায়ু ক্যন্সারের কারনে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে-

  • যৌনি পথে রক্তপাত, মাসিক ছাড়াও রক্তপাত হতে পারে
  • যৌনমিলনে সময় ব্যাথা
  • প্রস্রাবের সময় ব্যাথা, এমন ব্যাথা যেন প্রস্রাব শেষ হচ্ছেনা

মাসিক কত দিন পর পর হয়

জরায়ু বড় হলে কি করবেন?

অধিকাংশ বড় জরায়ু নিজে থেকে ছোট হয়ে যায় সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে। তবে ছোট না হলে আপনাকে বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে হতে পারে। জরায়ু বড় হওয়ার কারন ও ধরনের সাথে এর সমাধান নির্ভর করে।

Published by:

জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ ও সমাধান

কমবয়সী মহিলাদের বিশেষ করে যাদের বয়স ২০-৪০ বছর তাদের জরায়ু ইনফেকশন এর হার বেশি। ৮৫% ক্ষেত্রে সাধারণত স্বাভাবিকভাবে শুধু যৌনবাহিত হয়েই এটি হতে পারে। ১৫% ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে যেমন ডিঅ্যান্ডসি, কপারটি, এন্ডোমেট্রিয়াল বায়োপসি, হিস্টারোসালফিঙ্গোগ্রাফি নামক পরীক্ষার পর জীবাণু সংক্রমিত হয়ে হতে পারে। দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে সাধারনত ২৫ বছরের কম মহিলাদের এবং এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সে হয়ে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ (PID) বলে।

কাদের ঝুঁকি বেশি : মাসিক হয় এমন অল্পবয়স্ক (reproductive age)-এর মহিলাদের যাদের একাধিক পুরুষ যৌনসঙ্গী আছে, যারা পিল বা কনডম ব্যবহার করেন না, আগে যাদের জরায়ু ইনফেকশন হয়েছে, যারা কপারটি ব্যবহার করেন।

নারীদের জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ :- বিভিন্ন কারণে নারীদের জরায়ু প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এই কারণগুলি প্রত্যেক নারীকেই জেনে রাখা উচিত। তাতে জরায়ু সংক্রান্ত অনেক অনাকাংখিত জটিল সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকা সহজ হবে। নিম্নে প্রধান কারণগুলি উল্লেখ করা হল –

  • ঠান্ডা লাগা, ভিজা সেঁত সেঁতে স্থানে বাস থাকা, ঋতু বন্ধ হওয়া, অতিরিক্ত স্বামী সহবাস করা, কষ্টকর জরায়ুর উত্তেজনা ইত্যাদি কারণে হতে পারে।
  • জরায়ুতে নানা প্রকার জীবানু দূষণ যেমন – মনিলিয়াল ইনফেকশন, ট্রাইকোমনা জাতীয় ইনফেকশনের ফলে প্রদাহ হতে পারে।
  • জরায়ুতে ক্ষত, টিউমার ইত্যাদির জন্য ইহা হতে পারে।
  • ঋতুস্রাবের সময় নোংরা নেকড়া, কাপড় ইত্যাদি ব্যবহার থেকে এই রোগ হতে পারে।
  • B. coli রোগে অনেক দিন ভুগলে অথবা প্রস্রাব নালী নির্গত জীবানু যোনি পথে প্রবেশ করে এই জাতীয় প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে।
  • গনোরিয়া, সিফিলিস প্রভৃতি রোগ থেকে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।
  • গর্ভপাতের পর কোন কিছু Incomplete হলে অথবা Complete এই জাতীয় প্রদাহ হতে পারে অর্থাৎ আজকাল যে ভাবে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়ে থাকে এর ফলেও এই রোগটি অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • Curate অপারেশন ঠিক মত করাতে না পারলে জরায়ু প্রদাহ দেখা দিতে পারে, এছাড়া অন্যান্য অপারেশনের ফলেও ইহা দেখা দিতে পারে।
  • কেথিটার প্রয়োগের সময় তাতে জীবানু থাকলে তার দ্বারাও এই প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় প্রদাহ হয় কিন্তু তার সঠিক কারণ পাওয়া যায় না।
  • প্রস্রাবের পর ঠিক মত যত্ন না নেয়ার জন্য জরায়ুর গাত্রে ফুল পড়ে যাওয়ার পর ঘা থাকে এবং ঐ ঘায়ের মধ্যে জীবানু প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

উপসর্গ : তলপেটে ব্যথা, জ্বর, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, পুঁজের মতো স্রাব, সহবাসে ব্যথা, মাসিক ছাড়া রক্তস্রাব।

সংক্রমণ পদ্ধতি :  যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে পুরুষের শুক্রাণু ও ট্রাইকোমোনাড (যা পুরুষের যৌনাঙ্গে থাকে) বাহিত হয়ে জীবাণুগুলো নারীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। পরে জীবাণুগুলো জরায়ু, নালী হয়ে ডিম্বাশয়ও আক্রমণ করে। দীর্ঘদিন সংক্রমণ চলতে থাকলে জরায়ু নালী ধ্বংস করে বন্ধ্যত্বও হতে পারে।

রোগ নির্ণয় : জরায়ু মুখের রস, প্রস্রাবের রাস্তায় রস এবং বার্থোলিন গ্ল্যান্ড (মাসিকের রাস্তার মুখে এক ধরনের গ্রন্থি)-এর রস নিয়ে জীবাণু নির্ণয় ও কালচার করে, এছাড়া রক্ত পরীক্ষা, ল্যাপারোস্কোপি, সনোগ্রাফি করে রোগ নির্ণয় সম্ভব।

 

ফলোআপ : এন্টিবায়োটিক শেষ হওয়ার ৭ দিন পর পুনরায় 

জরায়ু কি ও সন্তান জন্মদানে জরায়ুর কাজ কি?

জটিলতা : পেটের ভেতর ইনফেকশন ছড়িয়ে গিয়ে ডিম্বনালী ও ডিম্বাশয়ে চাকা হওয়া, পেরিটোনাইটিস ও সেপটিসেমিয়া নামক জটিলতা হতে পারে। একবার সংক্রমিত হলে বন্ধ্যত্ব হওয়ার আশংকা ১২%, দুইবার হলে ২৫% এবং তিনবারের বেশি হলে এই আশংকা ৫০%। ঠিকমতো সমাধান না হলে রোগটি ক্রনিক হতে পারে। সব সময় তলপেটে বা পীঠে ব্যথা বা সহবাসে ব্যথা থেকেই যায়। এদের একটোপিক প্রেগনেন্সি (জরায়ু ছাড়া পেটের ভিতর অন্য জায়গায় বাচ্চা আসার) আশংকা ৬-১০ গুণ বেশি।

প্রতিরোধ : নিরাপদ যৌন সম্পর্ক, কনডম, পিল ব্যবহার, একের অধিক যৌনসঙ্গী না থাকা, সংক্রমিত হলে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত, মাসিকের রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা বিশেষ করে সহবাসের পর।

Published by:

ব্যাকলেস পোশাকে আকর্ষণীয় দেখাতে পিঠের যত্ন

আশে পাশে সবাই ব্যাকলেস পোশাক পরছে।  সে ইচ্ছে আপনারও আছে। ইচ্ছে পূরণ করতে কিছুদিন আগে মনের মত একটা ব্যাকলেস ব্লাউজও বানিয়েছেন। কিন্তু পিছনের ওই পিঠটা নিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস কম। কতটা আকর্ষণীয় ওই পিঠ। ব্যাকলেস পরলে কেমন লাগবে। আপনার জন্য, ব্যাকলেস পোশাকে আকর্ষণীয় দেখাতে পিঠের যত্ন।

আগে মনে করা হত ব্যাকলেস শুধু তামাটে বা স্লিম শরীরের মেয়েদের জন্য। এখন আর তামাটে বা স্লিম শরীরের প্রয়োজন নেই। ক্যারি করতে পারলেই হলো! এটি সার্বিক অর্থেই পার্টির পোশাক। সাধারণত সান্ধ্য পার্টি কিংবা বিয়ের বিশেষ পোশাক তৈরিতে এ ধরনের কাট ব্যবহার করা হয়।

ব্যাকলেস পোশাকের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, পুরো পিঠ থাকবে ফাঁকা, পেছন থেকে দেখলে মনে হবে সামনের দিকে পোশাকটি শূন্যে ঝুলে আছে। তবে,কতোটুকু পিঠ খোলা থাকবে এটি নির্ভর করে ডিজাইনের ওপর। কিছু পোশাকে পিঠের উপরের এবং মাঝের অংশ খোলা থাকে, যাতে বিউটিবোন দৃশ্যমান হয়; আবার কিছু পোশাক উন্মুক্ত থাকে প্রায় নিতম্ব পর্যন্ত। আমাদের ফ্যাশনে ব্যাকলেস ব্যবহৃত হয় নানাভাবে। তবে তা কিছুটা পরিবর্তিত এবং অবশ্যই পরিমার্জিত রূপে। বিশেষ করে ব্লাউজ ও কামিজের কাটে এর প্রভাব বেশি। সেই সঙ্গে গাউন তো আছেই। শাড়ি ও ঘাগরার সঙ্গে পরিধেয় এ পোশাকটিতে পিঠ সম্পূর্ণ বা আংশিক খোলা থাকে।

ব্লাউজ বেছে নিন শরীরের গঠন অনুযায়ী

তবে সবার জন্য নয় এটি। এর জন্য দরকার নিখুঁত দেহকাঠামো, সফিস্টিকেশন এবং রুচির প্রয়োগ। নইলে পোশাকটিকে অশ্লীল মনে হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে এই সময়ের নায়িকা বিদ্যা বালানের কথাও বলা যেতে পারে। ইদানীং ব্যাকলেস ব্লাউজ জনপ্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে তার একটি বিশাল ভূমিকা আছে। এ নিয়ে বিদ্যা চমৎকার একটি মন্তব্যও করেছেন। বলেছেন, ‘আমি মনে করি, শাড়িতে নিজেকে সেক্সি করে তোলার কাজে প্রাধান্য থাকে আঁচল ও ব্লাউজের। আমি সব সময় আমার ব্লাউজের কাট লো করে থাকি, যাতে পিঠ খুব ভালোভাবে দেখা যায়।কারণ, আগাগোড়া ঢাকা এত লম্বা কাপড়ের মধ্যে একটু স্কিন শো ভালই লাগে!’

ব্লাউজে ব্যাকলেসের ট্রেন্ড আসলে অনেকটা সে কারণেই। যদিও আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাকলেস মানে পুরোপুরি উন্মুক্ত পিঠ দেখানো নয়। পেছনে ডিপ স্কয়ার, রাউন্ড, হার্টশেপ এবং ভি কাটের মাধ্যমে ব্যাকলেস করে তোলা হয় ব্লাউজ কিংবা কামিজটিকে। লো কাট ব্লাউজের জনপ্রিয়তাই বেশি। এ ধরনের কাটে আংশিক উন্মুক্ত থাকে পিঠ, কখনো-সখনো পুরোপুরিও উন্মুক্ত থাকে ঝুল ফিতার মাধ্যমে। কামিজের ক্ষেত্রে হয়তো পিঠে বড় একটি হার্ট বা পেছনের গলার কাটটি তুলনামূলকভাবে অনেক গভীর করা হয়।

মুখের ত্বকের যত্নের জন্য আমরা যতটা সময় ব্যয় করি, তার থেকে কিছুটা কম সময়েই পেতে পারেন আকর্ষণীয় পিঠ। ব্যাকলেসে মধ্যমণি আপনিই।

ব্যাকনে থেকে মুক্তি মুখে নয়, পিটেও হতে পারে অ্যাকনের সমস্যা। আর পিঠে অ্যাকনের সমস্যাকেই পোশাকি ভাষায় বলে ব্যাকনে। আপনি টিনএজার হোন বা প্রাপ্তবয়স্ক, পিঠে অ্যাকনের সমস্যা কিন্তু রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারে। আর অভিজ্ঞদের মতে, মুখে ব্রণর সমস্যার থেকেও নাছোরবান্দা এই ব্যাকনে। পিঠে থাকা সেবাকিয়াস গ্রন্থি থাকে, তার ক্ষরণ বেশি হলেই অ্যাকনে হয়। তবে পিঠে অ্যাকনের মোকাবিলায় মেনে চলতে পারেন কয়েকটি সাধারণ রূপচর্চার টিপস।

পিঠের যত্নে সাধারণ টিপস

প্রথমেই বেছে নিন সঠিক বডি ওয়াশ। আপনার ত্বকের জন্য যেমন আপনি সঠিক ফেস ওয়াশ ব্যবহার করেন, তেমনই পিঠ ও শরীরের জন্য বেছে নিন সঠিক বডি ওয়াশ। খেয়াল রাখবেন, আপনার বডি ওয়াশে যেন এমন কিছু উপাদান থাকে যা পিঠের অ্যাকনের সঙ্গে লড়তে উপযুক্ত। খুব ভাল হয় যদি অ্যান্টইক্সিডেন্টযুক্ত বডি ওয়াশ বেছে নেন। কিছু কিছু বডি ওয়াশ পিএইচ লেভেলের মাত্রা ব্যালেন্সড রাখে। এগুলোও কিন্তু ব্যাকনের মোকাবিলায় আদর্শ।

হাইজিন বজায় রাখা খুব জরুরি। জিম থেকে ফিরে আলস্য করে বসে থাকলেন, বা বৃষ্টিতে ভিজে এসে স্নান করলেন নাএগুলো মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ঘাম ও ভিজে, স্যাঁতসেঁতে ভাব অ্যাকনের ব্যাকটিরিয়ার বধ্যভূমি। তাই, জিম থেকে ফিরে, বৃষ্টিতে ভিজে এসে বা বাইরে থেকে ঘুরে এসে অবশ্যই স্নান করুন।

স্নানের সময় এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়ে যাবে। ব্লকড পোরগুলোও খুলে যাবে। স্নানের সময় বডি স্ক্রাবিং নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে। যে স্ক্রাবে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড আছে, সেই স্ক্রাব বেশি উপযোগী।

ঘরোয়া যত্ন ছাড়াও মাঝেমধ্যে আপনি নিশ্চয়ই সালঁতে যান ফেশিয়াল করাতে? ঠিক সেরকমই পিঠের ডিপ ক্লেনজ়িংয়ের জন্য পারলার ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। সালঁতে গিয়ে ব্যাক মাসাজ নিন। এতে পিঠে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। পিঠের ত্বকও হয়ে ওঠে গ্লোয়িং আর উজ্জ্বল! বাড়িতেও ক্লে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এতে পিঠের ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্র (ক্লগড পোরস) খুলে যায়। ত্বক আবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে।

যদি আপনার লম্ব চুল হয়, তাহলে তা পিঠের সংস্পর্শে আসবেই। সেক্ষেত্রে চুল সবসময় পরিষ্কার রাখবেন। এমন অনেক হেয়ার প্রডাক্ট আছে, যেগুলো ত্বকের পোরস বন্ধ করে দেয়। ত্বক তৈলাক্তও হয়ে যেতে পারে। তাই, ময়েশ্চারাইজ়ার সেরাম ব্যবহার করার সময় মাথায় রাখবেন তা যেমন শুধু আপনার চুলের উপযুক্তই নয়, ত্বকেরও উপযুক্ত হয়। বাইরে রোদে বা ধুলোময়লায় লো কাট ব্লাউজ় বা হল্টার নেক পড়লে, চুল বেঁধে রাখাই ভাল।

 

সেক্সি পিঠের জন্য যত্ন

পিঠের যত্নের জন্য যে বিউটি ট্রিটমেন্টই করুন না কেন, শুরুতেই হালকা গরম জলে স্নান করবেন। ঈষদুষ্ণ জল বন্ধ হওয়া পোরসগুলোয় জমে থাকা ময়লা বের করে আনবে। চেষ্টা করুন পিঠে গরম ধোঁয়া লাগানোর (হট স্টিম)। এতে পিঠে জমে থাকা ময়লা আরও সহজে বেরিয়ে আসবে। পিঠেও কিন্তু ব্ল্যাকহেডস হতে পারে। স্টিম নিলে ব্ল্যাকহেজস থেকেও মুক্তি পাবেন। ফলে, পিঠের ত্বক হয়ে উঠবে আরও উজ্জ্বল ও গ্ল্যামারাস।

পিঠ আমাদের শরীরের অন্যতম অবহেলিত অংশ। মুখ বা হাতের যতটা যত্ন আমরা করি, পিঠের ততটা যত্ন আমরা কেউই নিই না। ফলে পিঠে মৃতকোষ, ব্ল্যাক হেডস আর ময়লা জমতে থাকে। তাই ভাল বডি স্ক্রাব অবশ্যই ব্যবহার করবেন। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে ব্যাক পলিশ করাতে পারেন। বড় দাঁড়ার ব্রাশ পিঠে বুলিয়ে নিন। শুকনো অবস্থায় ব্যাক ব্রাশিং কিন্তু ত্বকের মরা কোষ ধরিয়ে ফেলতে উপযোগী। অ্যাকনের সমস্যার থাকলে মাইল্ড ক্লেনজ়ার ব্যবহার করুন।

স্ক্রাবিংয়ের পরে ময়েশ্চারাইজ় করুন। খুব ভাল হয় যদি অভিজ্ঞ কারওর কাছে ব্যাক মাসাজ করান। আমন্ড, অলিভ বা জোজোবা তেল দিয়ে ব্যাক মাসাজ করতে পারেন। এতে পিঠের ত্বক নরম তো হবেই, মসৃণও হয়ে উঠবে। আর পিঠের রক্ত সঞ্চালন বাড়লে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।

উজ্জ্বল পিঠের সৌন্দর্য তখনই বোঝা যাবে যখন পিঠের আকার হবে ঈর্ষণীয়! টোনড পিঠ পেতে তাই নিয়মিত এক্সারসাইজ় করুন। প্ল্যাঙ্ক বা পুশ আপ করতে পারেন। যদি এতটা হেভি এক্সারসাইজ়ে অভ্যস্ত না হন তাহলে যোগাসনও করতে পারেন। পিলাটিসেও পিঠের মেদ ঝরে।

পার্টিতে বা কোনও অনুষ্ঠানে ব্যাকলেস পরে যাবেন ভাবলে পিঠের যথাযথ মেক-আপও প্রয়োজন। যতটা সময় নিয়ে আমরা মুখের মেক-আপ করি, তার কিছুটা যদি পিঠের জন্য ব্যয় করা যায়, তাহলে পার্টিতে আপনার পিঠ থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না কেউই! পিঠে বডি ফাউন্ডেশন লাগান। এরপরে হালকা কমপ্যাক্ট পাউডার লাগিয়ে নিন। আপনার কমপ্লেকশন অনুযায়ী প্রডাক্ট বেছে নেবেন। পিঠে যদি দাগছোপের সমস্যা থাকে তাহলে অল্প কনসিলার ব্যবহার করুন। আর শেষে লাগান ব্রনজ়ার। ব্যস, সেক্সি পিঠ পেতে আর বিশেষ কসরত্‌ করতে হবে না।

যে ধরনের ব্লাউজ আপনার পছন্দ

ব্যাক লেস পরার কিছু নিয়মকানুন আছে-  কামিজ, চোলি, ব্লাউজ বা গাউন, যা-ই পরা হোক না কেন, তাতে খোলা পিঠের সঙ্গে আবৃত সম্মুখভাগের ভারসাম্য থাকতে হবে। শরীরের সামনের অংশ যেন খুব বেশি জমকালো না হয়। বড় হার কিংবা গর্জিয়াস বড় দুল একেবারেই মানায় না এর সঙ্গে। শুধু ব্যাকলেস জামা পরেই হয়ে ওঠা যায় দারুণ ফ্যাশনেবল। সঙ্গে এক জোড়া সাধারণ জুতা এবং ছোট্ট একটি পার্স। বেস্ট হেয়ারস্টাইল হতে পারে খোঁপা বা বেণি। অনুষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে খোলা চুলের ক্যাজুয়াল লুকও চলতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে চুল সামনে এনে এক পাশে ফেলে রাখলেই ভালো লাগবে। খোলা পিঠই যেখানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, তা যতোটা প্রদর্শন করা যায় ততোই ভাল।
 

Published by:

স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ ও সমাধান

বয়সের আগে যদি স্তন ঝুলে যায়, তবে আপনার চিন্তিত হবার কারণ আছে। আপনার জন্য এই লেখা যেখানে জানাব মেয়েদের স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ এবং এর সম্ভাব্য সমাধান গুলো।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য স্তন ঝুলাঅংগের যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি পরিবর্তন আসে আপনার স্তনে। স্তন ঝুলে যাওয়া সেই পরিবর্তনেরই অংশ। তবে কারো ক্ষেত্রে বেশী মাত্রায় স্তন ঝুলে আবার কারো ক্ষেত্রে কম।

আপনার তারন্য উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে আপনি যেমন নানা রকম যত্ন নিয়ে থাকেন, আপনার স্তনের সাইজ, উজ্জ্বলতা ধরে রাখতেও আপনার কিছু যত্ন নেয়া প্রয়োজন।

স্তন ব্যথার কারণ কি কি?

প্রচলিত ভুলধারণা
নারীর স্তন ঝুলে যাওয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারনার প্রচলন আছে। নিচে তেমনি কিছু ভুল ধারনার কথা দেয়া হল-

  • শিশুকে দুধ খাওয়ালে স্তন ঝুলে যায়
  • ব্রা না পরলে স্তন ঝুলে যায়
  • সঠিক মাপের ব্রা না পরলে স্তন ঝুলে যায়

স্তন ঝুলে যাওয়ার সাথে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি যে সব নারী একাধিক বাচ্ছাকে দুধ খাওয়ান, তাদের ক্ষাত্রেও স্তন ঝুলে যাওয়ার সম্পর্ক নেই। আর এরি তথ্যগুলো জানিয়েছে আমেরিকান সোসাইটি অব প্লাষ্টিক সার্জন । তেমনি ব্রা না পরা বা সঠিম মাপের ব্রা না পরার সাথেও স্তন ঝুলে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।

স্বাভাবিক স্তন বৃদ্ধি

স্বাধারণত বয়ঃসন্ধির আগে থেকে মেয়েদের স্তন গঠিত হতে শুরু করে। স্তনবোটা বা নিপল থেকে স্তন গঠন হয়। ধীরে ধীরে স্তন বড় হতে থাকে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক স্তনে পরিপূর্ণ না হওয়া অবধি এই বৃদ্ধি চলতে থাকে। স্তনের গঠন ও আকার নির্ভর করে শরীরের গঠন, ওজন, হরমন ও জিন দ্বারা।  তাই একেক নারীর স্তন একেক রকম হয়ে থাকে।

ঔষুধ ছাড়া স্তন বড় করার উপায়

স্তন ঝুলার লক্ষন

কখন বুঝবেন আপনার স্তন ঝুলে যাচ্ছে। নিচে তেমনি কিছু লক্ষণ দেয়া হলঃ

  • নিপলের স্থান পরিবর্তন হলে- যখন দেখবেন আপনার স্তনে নিপল আগের যাওয়গায় নেই, নিপল স্থান পরিবর্তন করেছে, তখন বুঝতে হবে আপনার স্তন ঝুলতে শুরু করেছে।
  • স্তনের চামড়া কুচকে যাওয়া – যখন দেখবেন আপনার স্তনের দু পাশের চামড়া টান টান থেকে কুচকে যেতে শুরু করেছে, তখন বুঝবেন ঝুলে যাচ্ছে।

স্তন ঝুলে যাওয়ার কারন

  • প্রত্যাহিক কাজে আপনি যখন বুক নিচু করেন, আপনার স্তন একটু একটু করে ঝুলতে শুরু করে
  • স্তনের গঠন স্তন ঝুলার একটি বড় কারন। গোল বাটের ছোট স্তন সাধারণত কম ঝুলে বড় বা চিকন স্তনের চেয়ে।
  • শরীরের ওজনের পরিবর্তন স্তন ঝুলার একটি কারন। ওজনের পরিবর্তনের কারণে স্তন তার স্বাভাবিক গঠন হারায় এবং ঝুলে যায়।
  • ধূমপান স্তন ঝুলার কারণ হয়ে থাকে। ধূমপানের কারনে শরীরের টাইটনেস কমতে থাকে এবং স্তন ঝুলে যায়।
  • জেনেটিকাল কারনেও স্তন ঝুলে। বাবা মায়ের জিন থেকে সন্তানের শরীরের গঠন পায়ে থাকে।  যার মধ্যে স্তন একটি। সেই গঠনের কারণে স্তন ঝুলতে পারে।
  • অধিক বার প্রেগ্ন্যান্ট হওয়া
  • সাপোর্ট ছাড়া ব্যয়াম করা যাতে স্তন ঝুলতে পারে
  • বয়সের সাথে সাথে স্বাভাবিক ভাবে স্তন ঝুলে।

স্তন ঝুলা

স্তন ঝুলে যাওয়ার সমাধান

কিছু বিষয় মেনে চললে স্তন ঝুলা রোধ করতে পারেন। নিচে তেমনি কিছু উপায় দেয়া হল।

  • নিয়মিত সঠিক ব্যয়াম করুন
  • তাজা ফলমূল ও শাক সবজি খাবেন পরিমান মত
  • চর্বি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
  • শরীরের ওজন স্বাভাবিক রাখুন
  • ধূমপান করবেন না
  • প্রত্যাহিক কাজে যত সম্ভব স্তন ঝুলতে দিবেন না
  • প্রচুর পানি পান করুন
  • মাঝে মাঝে স্তন মাসাজ করুন

গরমে স্তনের বাড়তি যত্ন

স্তন নারীর সৌন্দর্যের অংশ। তাই স্তনের নিয়মিত যত্ন নিন। ক্ষনিকের অবহেলার কারনে যাতে পরবর্তীতে আপসোস করতে না হয়। ভালো থাকবেন।

Published by:

ব্রেকআপ বা ডিভোর্সের পর ভালোবাসার মানুষকে ভুলে থাকার উপায়

মনের মানুষকে ভুলে থাকা সহজ কাজ নয়। যে মানুষকে এতদিন আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন, সেই ভালোবাসার মানুষকে ভুলে থাকার উপায় খুজছেন আজ। ব্রেকআপ বা ডিভোর্সের পর প্রিয় মানুষটিকে ভুলে যাওয়ার মন্ত্র শিখতে চাচ্ছেন।

আমাদের ভালোবাসার মানুষটি কিছুক্ষণের জন্য দূরে গেলে আমাদের পৃথিবীতে নেমে আসে অন্ধকার, সেখানে যদি ভালোবাসার মানুষটি সম্পর্কচ্ছেদ করে চলে যান তাহলে মানসিকভাবে ভেঙে পরাটা খুব স্বাভাবিক। ভালোবাসার মানুষটির সাথে বিচ্ছেদ যেনো জীবনটাকে থমকে দেয়।

বিচ্ছেদে মন যতই খারাপ থাকুক, জীবনকে তো আর থামিয়ে রাখা যাবেনা। এগিয়ে যেতে হবে আগামীর পথে। নতুন ভাবে উঠে দাঁড়াতে হবে, ভুলে যেতে হবে পুরোনো ফেলে আসা স্মৃতি।

মন থেকে মেনে নিন

পুরনো সম্পর্কিত পিছনে ফেলে যদি সত্যি এগিয়ে যেতে চান, তবে সবার আগে আপনাকে এই রিয়েলিটি মন থেকে মেনে নিতে হবে। যদি তা না পারেন, তবে ওই পুরনো সম্পর্ক আপনাকে বার বার পিছনে নিয়ে যাবে। পারবেন না এগিয়ে যেতে। তাই যা হয়ে গিয়েছে তা মেনে নেয়াই ভালো। কারণ এতে করে নতুন কিছুর প্রতি নজর দেয়ার আশা জন্মে মনে।

তাকে চলে যেতে দিন

অধিকার ছেড়ে দিয়ে অধিকার ফিরে পাবার আশা করা ঠিক না। তাই যে চলে গেছে তাকে চলে যেতে দিন।  নিজের মনে তার স্মৃতি রেখে এবং জীবনে তার রেখে যাওয়া স্মৃতি মনে করে কষ্ট পাওয়া কোনো অর্থ নেই। তাকে যেতে দিলে আপনি নিজেকে সামলে নিতে পারবেন।

নিজেকে ব্যস্ত রাখুন নানা কাজে
অবসর বসে থাকলে বা একা থাকলে পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে, তাই একা থাকবেন না এবং নিজেকে খালি বসিয়ে রাখবেন না।নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করুন নানা কাজে।

পেছনে ফিরে দেখবেন না
কষ্ট পেতে বারবার পেছনে ফিরে দেখার কোনো অর্থ নেই। এতে করে আপনি আরও ভেঙে পরতে পারেন। তাই অতীত ধরে না রেখে ভবিষ্যতটা ভাবুন। জীবন থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্যই শুধুমাত্র পিছনে ফিরে দেখা উচিত।

পুরোনো স্মৃতি ভোলার জন্য নতুন স্মৃতি গড়ে নিন
নতুন কোনো স্মৃতি না গড়ে নিলে পুরোনো স্মৃতিই বারবার মনে পড়বে। তাই নতুন করে ভালো কিছু স্মৃতি গড়ে নিন যা আপনার পুরোনো স্মৃতিকে ভুলিয়ে দেবে।

পুরোনো মানুষটিকে যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন
আপনার পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন করে দিন। একজন মানুষ পুরোপুরি চোখের আড়াল হয়ে গেলে মন থেকে মুছে যেতে খুব বেশি দেরি লাগে না এবং কষ্টও কম হয়। তাই কোনো ধরণের যোগাযোগের পথ খোলা রাখবেন না।

নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত করুন
নিজেকে শক্ত করুন। যিনি চলে গিয়েছেন আপনাকে ফেলে তার জন্য কষ্ট কেন পাবেন তা একবার ভেবে দেখুন। আপনাকেও ভুলতে হবে এই প্রতিজ্ঞা করে নিজের মনকে দৃঢ় করুন।

নতুন করে ভালোবাসতে শিখুন
ভালোবাসা একবারই হয় এটি ভুল কথা। সত্যিকারের ভালোবাসা সবকিছু ভুলিয়ে দিতে পারে। নতুন করে ভালোবাসতে শিখুন। এবার আপনি হয়তো নিজের সত্যিকারের ভালোবাসায় ভুলে যেতে পারবেন ফেলে আসা ভুলটি।

তবে কোন সম্পর্ক ছেদের আগে ভালো করে ভেবে দেখুন কেন ছাড়ছেন ভালোবাসার মানুষকে। অবগত থাকুন কি হারাচ্ছেন আর কি পাবার আশা করছেন এই বিচ্ছেদ থেকে।

Published by:
//GA Code Start //GA code end