oporazita – NariBangla
NariBangla » Blog Archives

Author Archives: oporazita

শীতকালে কেন বিয়ে বেশি হয়?

শীতকালে বেশি বিয়ে হয় কারণ এই মৌসুমে বিয়ে হওয়ার নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। শীত মৌসুমে বিয়ে একটি মধুর এবং রোমান্টিক অভিজ্ঞান সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। প্রতি বছর এই সময়ে বিভিন্ন সামাজিক ও ধার্মিক উৎসবে বিয়ে অনুষ্ঠান হয়, যা পারিবারিক একতা এবং সম্পর্কে আগ্রহী হতে সাহায্য করে।

এখানে কিছু কারণ দেওয়া হয়েছে শীতকালে বেশি বিয়ে হওয়ার:

  1. বিদ্যুত বিল কম আসে:
    শীতকালে গরমকালের মত ফ্যান বা এসি ব্যবহার করতে হয় না, তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে এই উপকরণের প্রয়োজন কম পড়ে। এতে স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুত বিল কম আসে।
  2. শীতে পরিশ্রম করা সহজ:
    বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে কত রকমই না পরিশ্রম আর কাজ করতে হয়। শীতকালে কাজ করার সুযোগ বেশি থাকার কারণে এই সময়ে প্রস্তুতি ও আয়োজনের জন্য ক্লান্তি আসে না।
  3. বিয়ের সাজ:
    বিয়ের সাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এই সময়ে ফুলের দাম ও কম থাকে, যা বিয়ের নানা আয়জনে ফুল কিনতে খরচ কম হয়ে থাকে।
  4. হানিমুন:
    শীতকালটি ঘোরাঘুরির জন্য উপযুক্ত, এবং তাই এটি বিয়ে এবং এর পরে হানিমুনে ঘোরাঘুরির জন্য আদর্শ। এই সময়ে উষ্ণতা ভাগাভাগি থাকা সহ সঙ্গী সঙ্গীর সাথে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ জেনে নেওয়া হতে পারে, যা সাম্প্রদায়িকভাবে এবং সৌন্দর্য অনুভূতির মধ্যে সম্মিলিত হতে সাহায্য করে।

এ ছাড়াও শীত কালে বিয়ের আরো নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

Published by:

শীতে পোশাক নির্বাচনে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত

শীতের পোশাক বাছাই করার সময়, বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা উচিত। আমরা শুধুমাত্র এমন পোশাক নির্বাচন করতে চাই না যা আমাদের উষ্ণ রাখে, তবে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে সেগুলি আরামদায়ক এবং আড়ম্বরপূর্ণ। এই নিবন্ধে, আমরা শীতের পোশাক নির্বাচন করার সময় মাথায় রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

প্রথম এবং সর্বাগ্রে, শীতকালে আপনার অবস্থানের আবহাওয়ার অবস্থা বিবেচনা করা অপরিহার্য। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন মাত্রার ঠান্ডা রয়েছে এবং কিছু কিছু তুষারপাতও হতে পারে। আপনার এলাকার জলবায়ু বোঝা আপনার পোশাকে আপনার প্রয়োজনীয় নিরোধকের মাত্রা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। অত্যন্ত ঠান্ডা অঞ্চলের জন্য, এটি মোটা, স্তরযুক্ত পোশাকগুলি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যা সর্বাধিক উষ্ণতা এবং সুরক্ষা প্রদান করে।

আপনার শীতের পোশাকের উপাদানও আপনাকে উষ্ণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উল, ফ্লিস এবং ডাউনের মতো কাপড়গুলি চমৎকার পছন্দ কারণ তাদের অন্তরক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি স্তরগুলির মধ্যে বায়ু আটকাতে পারে, অতিরিক্ত উষ্ণতা প্রদান করে। উপরন্তু, এই উপকরণগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য, আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হতে দেয়, আপনাকে স্যাঁতসেঁতে এবং অস্বস্তিকর বোধ করা থেকে বাধা দেয়।

শীতের পোশাক নির্বাচন করার সময় আরামকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নিশ্চিত করুন যে আপনার বেছে নেওয়া পোশাকগুলি চলাচলের সুবিধা দেয় এবং আপনার ক্রিয়াকলাপগুলিকে সীমাবদ্ধ করে না। পোশাকের ওজন বিবেচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ। ভারী শীতের কোট এবং সোয়েটার কিছু ব্যক্তির জন্য খুব কষ্টকর হতে পারে, তাই উষ্ণতা এবং আরামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

বিবেচনা করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শীতের পোশাকের স্টাইল। কার্যকারিতা মূল বিষয় হলেও এর মানে এই নয় যে আপনাকে ফ্যাশনে আপস করতে হবে। আজকাল, বিভিন্ন ডিজাইন, রঙ এবং প্যাটার্নে বিভিন্ন ধরণের শীতের পোশাক পাওয়া যায়। আপনার ব্যক্তিগত শৈলীকে প্রতিফলিত করে এবং আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এমন পোশাক বেছে নিন। মনে রাখবেন, শীতের ফ্যাশন শুধু বিশাল স্তরে জড়ো হওয়া নয়; এটি আপনার শৈলীর অনন্য অনুভূতি প্রদর্শন করার একটি সুযোগ।

এই কারণগুলি ছাড়াও, শীতের পোশাকের স্থায়িত্ব এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও বিবেচনা করা অপরিহার্য। দীর্ঘমেয়াদে তৈরি করা উচ্চ-মানের পোশাকগুলিতে বিনিয়োগ করা শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদে আপনার অর্থ সাশ্রয় করবে না তবে আপনি শীতের মৌসুমে পর্যাপ্তভাবে সুরক্ষিত থাকবেন তাও নিশ্চিত করবে। সঠিক যত্ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ, যেমন শীতল, শুষ্ক জায়গায় শীতের কাপড় সংরক্ষণ করা এবং ধোয়ার জন্য প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী অনুসরণ করা তাদের জীবনকাল দীর্ঘায়িত করতে সাহায্য করবে।

উপসংহারে, শীতের পোশাক নির্বাচন করা শুধুমাত্র উষ্ণ থাকার জন্য নয়, কার্যকারিতা এবং শৈলীর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খোঁজার বিষয়েও। আবহাওয়ার অবস্থা, উপাদান, আরাম, শৈলী এবং স্থায়িত্বের মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করে, আপনি আপনার শীতের পোশাক নির্বাচন করার সময় সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সুতরাং, শীতের ঋতুকে আত্মবিশ্বাসের সাথে আলিঙ্গন করুন, জেনে নিন যে আপনি শীতের মাস জুড়ে আপনাকে আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল রাখতে নিখুঁত পোশাক বেছে নিয়েছেন।

Published by:

ইনডোর ফিটনেস এবং ব্যায়াম: সারা বছর ধরে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা

শীতের ঋতু প্রায়শই আমাদের ফিটনেস রুটিন ত্যাগ করার সময় আরামদায়ক খাবারে লিপ্ত হয়ে একটি কম্বলের নীচে হাইবারনেট করার এবং কুঁকড়ে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে আসে। যাইহোক, একটি সক্রিয় জীবনধারা বজায় রাখা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য, বাইরের আবহাওয়া নির্বিশেষে। সৌভাগ্যবশত, ইনডোর ফিটনেস এবং ব্যায়ামের জন্য অসংখ্য বিকল্প রয়েছে যা আমাদের সক্রিয় থাকতে সাহায্য করতে পারে, এমনকি তাপমাত্রা কমে গেলেও।

হোম ওয়ার্কআউটগুলি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, আপনার নিজের থাকার জায়গার আরাম থেকে ব্যায়াম করার সুবিধা প্রদান করে। প্রযুক্তির আবির্ভাবের সাথে, অগণিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা সমস্ত ফিটনেস স্তরের জন্য উপযুক্ত নির্দেশিত ওয়ার্কআউট রুটিন প্রদান করে। এই ভার্চুয়াল ওয়ার্কআউট সেশনগুলি ব্যয়বহুল জিমের সদস্যতার প্রয়োজন বা ফিটনেস সুবিধায় যাতায়াতের ঝামেলা দূর করে। কার্ডিও থেকে শক্তি প্রশিক্ষণ, যোগব্যায়াম থেকে উচ্চ-তীব্রতার ব্যবধান প্রশিক্ষণ (HIIT), হোম ওয়ার্কআউটগুলি প্রত্যেকের পছন্দগুলি পূরণ করার জন্য বহুমুখী বিকল্পগুলি অফার করে৷

যোগব্যায়াম, প্রাচীন উত্সের সাথে একটি মন-শরীর অনুশীলন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এর সুবিধাগুলি নমনীয়তা এবং শক্তি-নির্মাণের বাইরেও প্রসারিত, কারণ যোগব্যায়াম মানসিক স্বচ্ছতা এবং চাপ হ্রাসকেও প্রচার করে। বিভিন্ন আসন (ভঙ্গি) এবং নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামে জড়িত থাকার মাধ্যমে, অনুশীলনকারীরা মননশীলতার অবস্থা গড়ে তোলার সময় তাদের শারীরিক সুস্থতা বাড়াতে পারে। অনেক যোগ স্টুডিও এখন ভার্চুয়াল ক্লাস অফার করে, যা ব্যক্তিদের তাদের নিজেদের বাড়ির আরাম থেকে এই প্রাচীন অনুশীলনের প্রশান্তি এবং পুনরুজ্জীবিত প্রভাবগুলি অনুভব করতে দেয়।

স্ট্রাকচার্ড হোম ওয়ার্কআউট এবং যোগব্যায়াম ছাড়াও, আপনার শরীরকে বাড়ির অভ্যন্তরে সচল রাখার আরও অনেক উপায় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নাচের ওয়ার্কআউটগুলি অনুশীলনের একটি উপভোগ্য এবং প্রাণবন্ত ফর্ম হিসাবে আকর্ষণ অর্জন করেছে। জুম্বা থেকে হিপ-হপ পর্যন্ত শৈলীগুলির সাথে, এই উদ্যমী রুটিনগুলি ক্যালোরি পোড়াতে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে উন্নত করার একটি মজাদার এবং কার্যকর উপায় প্রদান করে৷ নাচ শুধুমাত্র সমন্বয় এবং ভারসাম্যকে উন্নত করে না বরং ব্যক্তিদের সৃজনশীলভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে এবং আলগা হতে দেয়।

যারা আরও সুগঠিত পদ্ধতির সন্ধান করছেন তাদের জন্য, ব্যায়ামের সরঞ্জামগুলিতে বিনিয়োগ আপনার বাড়ির সীমানার মধ্যে একটি জিমের মতো অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে। এটি একটি ট্রেডমিল, স্থির বাইক, বা ডাম্বেলের একটি সেট হোক না কেন, সহজেই উপলব্ধ সরঞ্জাম থাকা একটি ওয়ার্কআউট রুটিনে লেগে থাকার জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক কারণ হতে পারে। যাইহোক, এটির কার্যকারিতা সর্বাধিক করার জন্য ব্যক্তিগত ফিটনেস লক্ষ্য এবং পছন্দগুলির সাথে সারিবদ্ধ সরঞ্জামগুলি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷

উপরন্তু, আপনার রুটিনে অভ্যন্তরীণ খেলাধুলা এবং ক্রিয়াকলাপগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা ব্যায়ামকে আরও আনন্দদায়ক এবং আকর্ষক করে তুলতে পারে। টেবিল টেনিস থেকে বাস্কেটবল পর্যন্ত, অনেক ইনডোর স্পোর্টস রয়েছে যা বন্ধু এবং পরিবারের সাথে উপভোগ করা যেতে পারে। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় জড়িত হওয়া শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতাকে উৎসাহিত করে না বরং সামাজিক সংযোগও বৃদ্ধি করে, যা সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও ইনডোর ফিটনেস এবং ব্যায়ামে লিপ্ত হওয়া ঠান্ডা মাসগুলিতে সক্রিয় থাকার একটি দুর্দান্ত উপায়, আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টি, হাইড্রেশন এবং ঘুম একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কোনো নতুন ফিটনেস শাসন শুরু করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না, বিশেষ করে যদি আপনার আগে থেকে বিদ্যমান চিকিৎসা অবস্থা বা আঘাত থাকে।

উপসংহারে, ইনডোর ফিটনেস এবং ব্যায়াম সারা বছর ধরে সক্রিয় থাকার এবং আমাদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস লক্ষ্যগুলি বজায় রাখার অফুরন্ত সম্ভাবনা প্রদান করে। হোম ওয়ার্কআউট থেকে যোগব্যায়াম, নাচ এবং এমনকি ব্যায়ামের সরঞ্জামগুলিতে বিনিয়োগ পর্যন্ত, আপনার পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুসারে অনেকগুলি বিকল্প উপলব্ধ রয়েছে৷ বাড়ির অভ্যন্তরে একটি সক্রিয় জীবনধারা আলিঙ্গন করা শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতাকে সমর্থন করে না বরং মানসিক সুস্থতাও বাড়ায়। সুতরাং, আসুন শীতের ব্লুজ ত্যাগ করি এবং আমাদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অগণিত সুযোগগুলিকে আলিঙ্গন করি, এমনকি বাইরের আবহাওয়া কম আমন্ত্রণ জানানো হলেও।

Published by:

স্বাস্থ্যকর শীতকালীন রেসিপি – সুষম খাদ্য বজায় রাখুন

শীতকাল এমন একটি ঋতু যা প্রায়শই আমাদের হৃদয়গ্রাহী এবং আরামদায়ক খাবারে লিপ্ত হতে প্রলুব্ধ করে। যাইহোক, এর অর্থ এই নয় যে আমাদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি লক্ষ্যগুলির সাথে আপস করতে হবে। আমাদের শীতকালীন রেসিপিগুলিতে ঋতুভিত্তিক উপাদানগুলির উপর ফোকাস করে এবং পুষ্টিকর পছন্দগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে আমরা শীতের মাসগুলিতে একটি সুষম খাদ্য বজায় রাখতে পারি।

স্বাস্থ্যকর শীতকালীন রেসিপিগুলির অন্যতম প্রধান দিক হল মৌসুমী পণ্যের ব্যবহার। গাজর, মিষ্টি আলু এবং পার্সনিপসের মতো মূল শাকসবজি কেবল শীতের মাসগুলিতেই পাওয়া যায় না, তবে তারা প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতাও সরবরাহ করে। ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার দিয়ে প্যাক করা, এই সবজিগুলিকে রোস্ট করা, স্টিউ করা বা বিশুদ্ধ করে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর দিক বা প্রধান খাবার তৈরি করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্যকর শীতকালীন রেসিপিগুলির আরেকটি অপরিহার্য উপাদান হল চর্বিহীন প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করা। মুরগি, টার্কি এবং মাছের মতো মাংস আরামদায়ক স্ট্যু, ক্যাসারোল বা রোস্ট তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রোটিনগুলি কেবল প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডই সরবরাহ করে না তবে আয়রন এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিও সরবরাহ করে। মাংসের চর্বিহীন কাটা বেছে নেওয়ার মাধ্যমে এবং অতিরিক্ত চর্বি ছাঁটাই করে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে আমাদের শীতকালীন রেসিপিগুলি স্বাস্থ্যকর এবং স্বাস্থ্যকর থাকে।

যদিও শীতকাল ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং ছোট দিন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কমলালেবু, জাম্বুরা এবং লেবুর মতো সাইট্রাস ফল শীতকালে প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের শীতকালীন রেসিপিগুলিতে সাইট্রাস টুইস্ট যুক্ত করা, তা ড্রেসিং বা ডেজার্টের আকারে হোক না কেন, স্বাদ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি সতেজ বিস্ফোরণ প্রদান করতে পারে।

আমাদের শীতকালীন রেসিপিগুলিতে গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করা একটি ভাল গোলাকার এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করার আরেকটি উপায়। ওটস, বাদামী চাল, এবং কুইনোয়া শুধুমাত্র আরামদায়ক এবং ভরাট নয়, প্রয়োজনীয় খাদ্যতালিকাগত ফাইবারও প্রদান করে। এই শস্যগুলি স্যুপ, স্ট্যু বা সালাদে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, পুষ্টির একটি অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করে এবং সারা দিন ধরে শক্তির স্থির মুক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে।

যদিও পুষ্টিকর উপাদানগুলির উপর ফোকাস করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমাদের শীতকালীন রেসিপিগুলি যাতে সুস্বাদু এবং উপভোগ্য হয় তা নিশ্চিত করাও প্রয়োজন। আদা, দারুচিনি এবং জায়ফলের মতো ভেষজ এবং মশলা যোগ করা শুধুমাত্র আমাদের খাবারের জন্য একটি উষ্ণতা এবং আরামদায়ক দিক প্রদান করতে পারে না বরং অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সুবিধাও প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, আদা হজমকে সমর্থন করে এবং প্রদাহ কমাতে দেখা গেছে, যখন দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।

সবশেষে, শীতের মাসগুলিতে হাইড্রেশনের গুরুত্বকে উপেক্ষা না করা অপরিহার্য। যদিও গ্রীষ্মকালে আমরা যতটা পিপাসা অনুভব করি না, তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন। উপরন্তু, আমাদের শীতকালীন রেসিপিগুলিতে ভেষজ চা বা ঘরে তৈরি ঝোলের মতো উষ্ণতাযুক্ত পানীয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা নিশ্চিত করতে পারে যে আমরা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সুবিধা উপভোগ করার সাথে সাথে হাইড্রেটেড থাকি।

উপসংহারে, স্বাস্থ্যকর শীতকালীন রেসিপিগুলি হল মৌসুমী উপাদান, চর্বিহীন প্রোটিন এবং গোটা শস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি আমাদের খাবারগুলি যাতে সুস্বাদু এবং উপভোগ্য হয় তা নিশ্চিত করে। এই দিকগুলির উপর ফোকাস করে, আমরা ঠান্ডা মাসগুলিতে একটি সুষম খাদ্য বজায় রাখতে পারি এবং আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করতে পারি। সুতরাং, আসুন শীতের ঋতুকে আলিঙ্গন করি এবং শীতকালীন রেসিপিগুলির পুষ্টিকর এবং আরামদায়ক বিশ্ব অন্বেষণ করি।

Published by:

শীতে ত্বকের যত্ন নিবেন কিভাবে ?

শীত আমাদের ত্বকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং ঋতু হতে পারে। ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক বাতাস, অন্দর গরম করার সাথে মিলিত, শুষ্কতা, চুলকানি এবং জ্বালা হতে পারে। এই সময়ে আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারা বজায় রাখার জন্য সঠিক যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। এই নিবন্ধে, আমরা শীতে আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু ব্যবহারিক টিপস নিয়ে আলোচনা করব।

প্রথম এবং সর্বাগ্রে, হাইড্রেশন চাবিকাঠি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, এমনকি যদি আপনার তৃষ্ণা না লাগে। উপরন্তু, একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতের মাসগুলিতে শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।

বিবেচনা করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আমাদের গোসলের রুটিন। যদিও গরম ঝরনা ঠান্ডা আবহাওয়ার সময় প্রশান্তিদায়ক বোধ করতে পারে, তারা আমাদের ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে ছিনিয়ে নেয়, যা আরও শুষ্কতার দিকে পরিচালিত করে। স্নানের জন্য হালকা গরম জল ব্যবহার করা এবং ঝরনার সময় প্রায় 10 মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা ভাল। এছাড়াও, একটি হালকা, সুগন্ধিমুক্ত সাবান বা বডি ওয়াশ বেছে নিন যা আপনার ত্বককে জ্বালাতন বা শুষ্ক করবে না।

ঋতু নির্বিশেষে যে কোনও ত্বকের যত্নের রুটিনে এক্সফোলিয়েশন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। যাইহোক, শীতকালে, ত্বকের জ্বালা এড়াতে আলতো করে এবং কম ঘন ঘন এক্সফোলিয়েট করা গুরুত্বপূর্ণ। মৃদু স্ক্রাব বা রাসায়নিক এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করে সপ্তাহে এক বা দুইবার ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে এবং কোষের টার্নওভার বাড়াতে বিবেচনা করুন।

কঠোর শীতের উপাদান থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। টুপি, স্কার্ফ এবং গ্লাভস সহ গরম পোশাক পরা আপনার ত্বককে ঠান্ডা বাতাস এবং নিম্ন তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এমনকি মেঘলা শীতের দিনেও এসপিএফ 30 বা তার বেশি যুক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। UV রশ্মি এখনও আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে যখন তুষার থেকে প্রতিফলিত হয়।

আপনার হাত এবং ঠোঁট ময়শ্চারাইজিং সমানভাবে অপরিহার্য। আমাদের হাত ঠাণ্ডা বাতাস এবং ঘন ঘন হাত ধোয়ার সংস্পর্শে আসে, যা শুষ্কতায় অবদান রাখে। আপনার হাত ধোয়ার পরে একটি সমৃদ্ধ হ্যান্ড ক্রিম প্রয়োগ করুন এবং বাইরে যাওয়ার সময় গ্লাভস পরিধান করুন। যখন ঠোঁটের কথা আসে, শেয়া বাটার বা নারকেল তেলের মতো পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে ঠোঁট বাম বেছে নিন যাতে ঠোঁট ফাটা ও ফাটা না হয়।

সবশেষে, শীতকালে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে ভুলবেন না। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য খাওয়া আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ত্বককে উন্নীত করতে আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং চর্বিযুক্ত মাছের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। উপরন্তু, সামগ্রিক ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়া এবং স্ট্রেস লেভেল পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহারে, শীতকালে আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু বাড়তি মনোযোগ প্রয়োজন। হাইড্রেশন, ময়শ্চারাইজেশন, মৃদু এক্সফোলিয়েশন, উপাদান থেকে সুরক্ষা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করার মূল দিক। এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার ত্বককে সুস্থ, ময়শ্চারাইজড এবং সমস্ত শীতকাল ধরে রাখতে পারেন। সুন্দর থাকুন, সুস্থ থাকুন!

Published by:

১০ উপায়ে ঠোঁট আকর্ষণীয় রাখুন

ঠোঁট আকর্ষণীয় রাখাতে কে না চায়। কিন্তু সঠিক উপায় না জানলে ঠোঁট হয়ে উঠতে পারে মৃত রুক্ষ অসুন্দর। এখানে তুলে ধরা হলো ঠোঁট আকর্ষণীয় রাখার ১০ উপায়:

  1. মৃত ত্বক এবং রুক্ষ দাগগুলি অপসারণ করতে আপনার ঠোঁট নিয়মিত একটি ঠোঁট স্ক্র্যাবার দিয়ে পরিষ্কার করুন।
  2. নরম ও মসৃণ রাখতে প্রতিদিন আপনার ঠোঁটকে ঠোঁট বাল্ম দিয়ে ময়শ্চারাইজ করুন।
  3. লিপস্টিক বা গ্লস দিয়ে আপনার ঠোঁটে রঙ এবং জ্বলজ্বল যুক্ত করুন যাতে এগুলি সুন্দর এবং উজ্জ্বল দেখায়।
  4. বিছানায় যাওয়ার আগে আপনার লিপস্টিকটি সরান এবং আবার ঠোঁট বাল্ম প্রয়োগ করুন।
  5. হাইড্রেটেড থাকুন এবং আপনার ঠোঁটকে শুষ্কতা এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  6. আপনার ঠোঁট ডিফাইন করতে একটি লিপ লাইনার ব্যবহার করুন।
  7. আপনার ঠোঁটকে পূর্ণরূপে প্রদর্শিত করতে একটি ঠোঁট প্লাম্পার ব্যবহার করুন।
  8. ধূমপান এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি আপনার ঠোঁটের চারপাশে কুঁচকানো এবং সূক্ষ্ম রেখা তৈরি করতে পারে।
  9. এসপিএফ দিয়ে ঠোঁট বালাম ব্যবহার করে আপনার ঠোঁটকে সূর্য থেকে রক্ষা করুন।
  10. আপনার ঠোঁটের আকার এবং ভলিউম বাড়ানোর জন্য ঠোঁট ইনজেকশন বা ফিলারগুলি পাওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করুন

বিভিন্ন ধরণের ঠোঁটের বিভিন্ন যত্ন প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার পাতলা ঠোঁট থাকে তবে আপনি ফুলার ঠোঁটের মায়া তৈরি করতে একটি ঠোঁট লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যদি পুরো ঠোঁট থাকে তবে আপনি তাদের চেহারাটি কমিয়ে আনতে একটি ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।

Published by:

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – কি খাবেন আর কি খাবেন না

গর্ভবতী মায়েরা প্রায় সব সময় দ্বিধায় থাকেন কী খাবেন আর কি খাবেন না, এ নিয়ে। অনেকে উদ্বিগ্ন থাকেন বাড়তি ওজন নিয়েও। তাই আমাদের আজকের বিষয় – গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- কি খাবেন আর কি খাবেন না।

গর্ভবতী মায়েদের মনে রাখা উচিত গর্ভের সন্তান পুষ্টি পায় তার মায়ের কাছ থেকে। অনাগত সন্তান আর মায়ের ভবিষ্যৎ সুস্থতাও অনেক ক্ষেত্রে গর্ভকালীন খাবারের ওপর নির্ভর করে। প্রকৃতপক্ষে সুস্থ মা-ই পারেন সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে। এ কারণে গর্ভবতী মায়েদের শরীরের যত্ন নিতে পুষ্টিবিদরা সব সময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাঁর খাবার যেমন পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যপ্রদ হবে, তেমনি তাঁকে নিজের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। যে খাবার খাবেন তাও যথাযথ পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত হতে হবে, যাতে কোনো সংক্রামক ব্যাধিতে তিনি আক্রান্ত না হন।

প্রেগন্যান্সির ১০ লক্ষণ জানাবে আপনি গর্ভবতী

বিভিন্ন সময় পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্য ঘাটতিতে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের সন্তান হয় ওজনে কম ও লম্বায় ছোট। বহু ক্ষেত্রে গর্ভেই সন্তান মরে যায়, জন্মের কিছু সময় পর সন্তান মৃত্যুমুখে পতিত হয়, গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে, সময় হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম হয়ে যায়, ফলে শিশু থাকে অপরিণত। [ সুত্রঃ কালের কন্ঠ ]

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- প্রচলিত ধারণা

বাংলাদেশে গর্ভবতী মায়েদের খাবার নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তি যেমন আছে, তেমনি অজ্ঞতার ফলেও অনেকের পক্ষে উপযুক্ত খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না।

বহু মানুষের ধারণা, মা যদি বেশি খাবার খায় তাহলে গর্ভের সন্তান আকারে বড় হবে। তখন স্বাভাবিক ডেলিভারি সম্ভব হবে না। তাই গর্ভবতী মাকে কম খেতে দেওয়া হয়। যা মা ও শিশুর জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আবার অনেকের মতে, একজন গর্ভবতী মাকে দুজনের খাবার খাওয়া উচিত। এটাও ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে। অতিরিক্ত ওজনের মায়েদের ক্ষেত্রে মৃত সন্তান অথবা ছোট শিশুর জন্মদানের ঘটনা বেশি। তবে খাবার যেমনই হোক না কেন, সেটা হতে হবে পুষ্টিকর। এ জন্য প্রতিদিনের খাবারে খাদ্যের সব কয়টি উপাদানের উপস্থিতি থাকতে হবে।

জরায়ু বড় হয় কেন, সমাধান কি?

গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকা এমন হওয়া উচিত যেন তা নিম্নোক্ত চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে।

ক) মায়ের ভালো স্বাস্থ্য রক্ষা

খ) বাচ্চার সঠিক বেড়ে ওঠা

গ) প্রসবের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি যোগানো

ঘ) এবং প্রসব পরবর্তীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বুকের দুধ সরবরাহ করা

টিটেনাস বা ধনুস্টংকার কি, কেন হয়, লক্ষণ কি এবং তার সমাধান

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- কি খাবেন

গর্ভবতী মায়ের যে খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ:

প্রোটিন বা আমিষ
প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে দৈনিক ৯০-১০০ গ্রাম। অর্থাৎ অন্য ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি। এই পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায় মাঝারি আকারে তিন টুকরা মাংস থেকে। প্রোটিন আসতে পারে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম, শিমের বিচি থেকে। প্রোটিন গর্ভস্থ শিশুর কোষ ও মস্তিষ্কের সঠিক গঠনে সহায়তা করে। মায়ের স্তনকোষ বাড়ায়। শ্রোণিচক্রকে সন্তান জন্মদানে উপযোগী করে।

ফ্যাট বা চর্বি
চর্বিজাতীয় খাবার শক্তির ভালো উৎস। এগুলো চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনকে কাজে লাগায়। আর এসব ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে। চর্বি পাওয়া যায় ঘি, মাখন, তেল, মাংসের চর্বি থেকে।

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা
শর্করাজাতীয় খাবারও শরীরে শক্তি জোগায়। শর্করা পাওয়া যায় ভাত, রুটি, চিঁড়া, মুড়ি, খই, আলু, চিনি, মিষ্টি ও গুড় থেকে। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলতে হবে।

ক্যালসিয়াম
নবজাত শিশুর হাড় গঠনের জন্য গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে খাবারে ক্যালসিয়াম বেশি আছে এমন খাদ্য বাড়াতে হবে। দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। তবে দুধ বেশি খেতে না পারলে ডাল, ছোট মাছ ইত্যাদি খেয়েও ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটানো যায়। গর্ভকালীন দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

ভিটামিন
ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘বি কমপ্লেক্স’ শিশুর দেহ গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গর্ভকালীন রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে বলে গর্ভের শেষদিকে ভিটামিন ‘কে’ খুবই প্রয়োজন। শিশুর হাড় গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন। কারণ এই ভিটামিন খাদ্যের ক্যালসিয়ামকে শোষণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘সি’ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই প্রয়োজন তাঁর নিজের ত্বক ও নবজাতকের ত্বক এবং চুলের জন্য। যেসব খাবার থেকে এ ধরনের ভিটামিন পাওয়া যাবে সেগুলো হলো দুধ, মাখন, ডিম, ছানা, কডলিভার অয়েল, ইলিশ মাছ, টমেটো, গাজর, পালংশাক, বিট, লালশাক, মাংস, বিভিন্ন ধরনের ডাল, আলু ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি যেমন কমলালেবু, টমেটো, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আমলকী, পেয়ারা, বরই ইত্যাদি থেকে। দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত।

গর্ভপাত কি এবং গর্ভপাত কেন হয়?

লৌহ ও ফলিক এসিড
গর্ভ ধারণের আগেই ফলিক এসিড ও লৌহসমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া উচিত। কারণ গর্ভকালীন এই দুটির ঘাটতি বেশি দেখা যায়। লৌহ ও ফলিক এসিড আছে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, চালতা, গুড়, কলিজা, পাকা কলা, খেজুর, আম, টমেটো, তরমুজ, সবুজ শাকসবজি, কালো কচুর শাক ইত্যাদিতে। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাসে প্রতিদিন ৬০০ মাইক্রো গ্রাম ফলিক এসিড ও ২৭ মিলিগ্রাম লৌহ প্রয়োজন।

ক্যালরি
গর্ভবতী মায়েদের ক্যালরির প্রয়োজন অন্যদের চেয়ে বেশি। এ জন্য প্রথম তিন মাসে খেতে হবে গর্ভ ধারণের আগে প্রতিদিন যতটুকু ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়েছেন ততটুকুই। পরবর্তী তিন মাসে প্রয়োজন দৈনিক অতিরিক্ত ৩০০ ক্যালরি এবং শেষ তিন মাসে প্রয়োজন দৈনিক আরো ২০০ ক্যালরি। সুতরাং প্রথমে তিনি যদি ১৪০০ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতেন, তাহলে তাঁকে দিতে হবে দ্বিতীয় তিন মাসে ১৪০০+৩০০=১৭০০ ক্যালরি, পরবর্তী তিন মাসে দিতে হবে ১৭০০+২০০=১৯০০ ক্যালেরিসমৃদ্ধ খাবার। যদি গর্ভবতী মা প্রথম তিন মাসে ১৬০০ ক্যালরি পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি শেষ তিন মাস পাবেন ২১০০ ক্যালরি। এই ক্যালরি বাড়ানো উচিত প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার থেকে। কারণ প্রোটিনযুক্ত খাবার দিয়েই ভ্রূণের বৃদ্ধি ঘটে থাকে।

গর্ভকালীন ৯ মাসে মোট ওজন বাড়া উচিত ১০ থেকে ১২ কেজি। এর চেয়ে বেশি বাড়লে সুস্থ সন্তান জন্মদানে যেমন প্রতিকূলতা দেখা দিতে পারে, তেমনি পরবর্তী সময়ে মায়ের ওজন স্বাভাবিকে ফিরিয়ে আনাও কঠিন হবে। তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

যাদের ওজন আগে থেকেই বেশি তাদের গর্ভকালীন ওজন পাঁচ থেকে আট কেজি পর্যন্ত বাড়তে পারে। যাদের ওজন আগে থেকে অনেক কম তাদের ওজন ১৫ কেজি পর্যন্ত বাড়লে ক্ষতি নেই।

গর্ভাবস্থায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মায়েদের হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে দেখা দেয় রক্তস্বল্পতা। কারণ এ সময় গর্ভস্থ শিশুর দেহে লৌহের চাহিদা মেটানোর পর মায়ের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে দেখা যায়। বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ গর্ভবতী কোনো না কোনো মাত্রায় রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন। রক্তস্বল্পতার ফলে দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ বা ক্লান্তি, বুক ধড়ফড় করা, মাথাঘোরা ইত্যাদি দেখা যায়। কলিজা, ডিমের কুসুম, মাংস, কালো ও সবুজ কচুর শাক, বিট, লেটুসপাতা, হলুদ ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এ ছাড়া প্রতিদিনই একটি বা দুটি টক ফল খাওয়া ভালো।

কিভাবে যমজ সন্তান জন্ম হয়? কেন তারা দেখতে একই রকম বা ভিন্ন হয়?

গর্ভবতী মায়ের ট্রাইমিস্টার অনুযায়ী খাদ্য তালিকা

গর্ভাবস্থা সাধারণত ৯ মাসের কিছু বেশি দিন থাকে। এই ৯ মাসকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ৩ মাস কে ফার্স্ট ট্রাইমিস্টার, দ্বিতীয় ৩ মাসকে অর্থাত্‍ ৪-৬ মাস কে সেকেন্ড ট্রাইমিস্টার এবং ৬ মাসের পর থেকে বাচ্চা জন্মের আগ পর্যন্ত সময়কে থার্ড ট্রাইমিস্টার বলে। ট্রাইমিস্টারের গুরুত্ব অনেক। একেক ট্রাইমিস্টারে শিশুর গ্রোথ বা গঠন একেক রকম। তাই ট্রাইমিস্টার অনুযায়ী খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। নিচে এ বিষয়ে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হলো।

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – প্রথম তিন মাস দৈনিক ১৬০০ ক্যালরিঃ

সকালের নাশতা

  • রুটি/পাউরুটি-৬০ গ্রাম=২ পিস
  • ডিম-একটা/ডাল-১০ গ্রাম
  • সবজি ইচ্ছামতো।

সকাল ১০-১১টা

  • মুড়ি/বিস্কুট/কেক ইত্যাদি-৬০ গ্রাম+ফল

দুপুরের খাবার

  • ভাত-দুই কাপ=২৪০ গ্রাম
  • মাছ/মাংস-৬০ গ্রাম
  • ডাল-আধা কাপ, মাঝারি ঘন
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

বিকেলের নাশতা

  • নুডলস/ছোলামুড়ি/সেমাই ইত্যাদি-৩০ গ্রাম

রাতের খাবার

  • দুপুরের মতো।

শোয়ার আগে

  • দুধ-১ কাপ

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – দ্বিতীয় তিন মাস দৈনিক ১৯০০ ক্যালরি

সকালের নাশতা

  • রুটি/পাউরুটি-৯০ গ্রাম=৩ পিস
  • ডিম-১টা/মাংস-২ টুকরা
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

সকাল ১০-১১টা

  • দুধ-১ কাপ
  • বিস্কুট/মুড়ি/নুডলস ইত্যাদি-৩০ গ্রাম+ফল

দুপুরের খাবার

  • ভাত-৩০০ গ্রাম=আড়াই কাপ
  • মাছ/মাংস-৮০ গ্রাম
  • ডাল-১ কাপ, সবজি-ইচ্ছামতো।

বিকেলের নাশতা

  • সেমাই/নুডলস/ছোলামুড়ি/কেক ইত্যাদি-৪০ গ্রাম

রাতের খাবার

  • দুপুরের মতো।

শোয়ার আগে : দুধ-১ গ্লাস

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা – শেষ তিন মাস দৈনিক ২১০০ ক্যালরি

সকালের নাশতা

  • রুটি/পাউরুটি-১২০ গ্রাম=৪ পিস
  • ডিম-১টা
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

সকাল ১০-১১টা

  • দুধ-১ কাপ
  • যেকোনো নাশতা-৬০ গ্রাম+ফল

দুপুরের খাবার

  • ভাত-৩৬০ গ্রাম=৩ কাপ
  • মাছ/মাংস-১০০ গ্রাম
  • ডাল-১ কাপ, ঘন
  • সবজি-ইচ্ছামতো।

বিকেলের নাশতা

  • দুধ অথবা দুধের তৈরি নাশতা-৬০
  • গ্রাম অথবা ডালের তৈরি নাশতা।

রাতের খাবার

  • দুপুরের মতো।

শোয়ার আগে : দুধ-১ গ্লাস।

এখানে আমরা উদাহরণসরূপ কিছু আদর্শ খাবার রুটিনের কথা বলব। তবে আপনার বয়স, শারীরিক অবস্থা, ওজন ইত্যাদি বিবেচনা করে ভাল ডায়েট সাজেশন অবশ্যই আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেবেন।

যে সব খাবার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়

গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা- কি খাবেন না

গর্ভবতী মায়ের যে খাবারগুলো খাওয়া উচিৎ নয় :

কাঁচা ডিম
ডিম পুষ্টিকর একটি খাবার। অনেকেরই কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কাঁচা ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়া যাবেনা।

অর্ধসিদ্ধ মাংস
অর্ধসিদ্ধ মাংসে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। প্যাকেটজাত মাংস যেমন- সসেজ খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। মাংস ভালো ভাবে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।

অপাস্তুরিত দুধ
অপাস্তুরিত দুধ বা কাঁচা দুধে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ভালো করে না ফুটিয়ে দুধ পান করা যাবেনা। অপাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি খাবার যেমন- নরম পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কলিজা ও কলিজার তৈরি খাবার
লিভারে রেটিনল থাকে যা একটি প্রাণীজ ভিটামিন এ। এর অতিরিক্ততা গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ক্যাফেইন
কফি ক্লান্তি দূর করার জন্য কার্যকর হলেও গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণ কম করতে হবে। চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে। দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম গ্রহণ করে। মিসক্যারেজের মত ঘটনাও ঘটতে পারে।

সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে।

কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপদজনক। এতে গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে।

যে লক্ষনগুলো জানাবে আপনি প্রেগনেন্ট কিনা

সহজে ব্ল্যাকহেডস দূর করার ১৩ টি ঘরোয়া উপায়

জীবনানন্দের স্ত্রীর চরিত্রে জয়া আহসান

Published by:

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ লক্ষণ

ক্যান্সারে আক্রান্ত বাঙ্গালি নারীদের এক-চতুর্থাংশ জরায়ুর ক্যান্সারে ভুগছেন। আমাদের দেশে নারীরা সাধারণত এসব সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করতে চায় না। ফলে ক্যান্সার ধীরে ধীরে শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সাধারনত লাসিকা ও রক্তের মাধ্যমে তা লিভার, ফুসফুস ও মস্তিষ্কে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ সময়ই জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্তরা এমন সময়ে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন যে তখন আর কিছুই করার থাকে না। ফলে জীবনঘাতী এই ক্যান্সার কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণ।

হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস

হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস মূলত জরায়ু ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের অনেক গুলো ধরন রয়েছে।  তবে এর মধ্যে ৪০ ধরনের হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস ছড়ায় যৌনতার মাধ্যমে। এখানে জানা থাকা দরকার এই ভাইরাস শুধু মাত্র যৌন মিলনের মাধ্যমেই ছড়ায়না। জেনিটিকাল এবং মুখ দিয়ে যৌনাংগ স্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।

আরো যেসব কারণে জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ে-

  • বাল্যবিবাহ
  • জন্মনিয়ন্ত্রন পিল (অনেক দিন ধরে খেলে, ৫ বছর বা তার বেশী)
  • ধুমপান, সিগেরেটে এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা জরায়ু থাকা কোষ গুলোকে নষ্ট করে ঝুকি বাড়ায়

জরায়ু ক্যান্সারের ঝুকি বেশী থাকে যাদের বয়্যস বেশী এমন নারীদের, বিশেষ করে যাদের বয়স ৩৫ বা তার বেশী।

জরায়ু কি ও সন্তান জন্মদানে জরায়ুর কাজ কি?

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ:

চলুন জেনে নেই কি কি কারণে জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ে-

  • বাল্যবিবাহ জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ায়। তাই ১৮ বছরের কম বয়সে বিবাহ করা উচিৎ নয়। বিয়ে ছাড়াও কম বয়সে যৌন মিলনের কারনে ঝুকি বাড়তে পারে।
  • কম বয়সে সন্তানের মা হলে, বিশেষ করে ২০ বছরের কম বয়সে গর্ভধারণ করলে  এই ঝুকি বাড়ে।
  • কম সময়ের ব্যবধানে মা হলে, বেশী সন্তান প্রসবের কারনে
  • একাধিক পুরুষের সাথে যৌন মিলনের কারনে।
  • পরিচ্ছনতার অভাবে, যৌনাংগ অপরিচ্ছন্ন রাখার কারনে।
  • ঘন ঘন যৌন রোগ হলে, জীবানু দ্বারা যৌনাংগ ঘন ঘন আক্রান্ত হলে জরায়ু ক্যন্সারের ঝুকি বাড়ে।

জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ

জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ:

জরায়ু ক্যন্সারের লক্ষণ প্রথম দিকে দেখা নাও দিতে পারে। তাই প্রতি দুই তিন বছরে এক বার করে বিশেষজ্ঞ দিয়ে যৌনাংগ পরিক্ষা করা দরকার। যখন লক্ষন দেখা দেয়, তখন আপনি নিচের লক্ষন গুলো পেতে পারেন –

  • এক মাসিক থেকে আরেক মাসিকের মাঝে হালকা রক্তপাত হতে পারে
  • পিরিওডের সময় ব্লিডিং বেশী পরিমানে হতে পারে, অনেক দিন ধরে হতে পারে
  • যৌন মিলনের পর ব্যাথা অনুভব হতে পারে
  • পিরিওড শেষ হবার পরও ব্লিডিং হতে পারে
  • পিরিওড অনিয়মিত হতে পারে
  • বয়সের সাথে সাথে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া।
  • যৌন মিলনের পর রক্ত যাওয়া
  • যৌনাংগে বাদামি রংগের বা রক্তযুক্ত স্রাবের আধিক্য দেখা দেওয়া
  • সাদা দুর্গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব হওয়া।

জরায়ু বড় হয় কেন, হলে কি করবেন?

জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিকার:

জরায়ু ক্যন্সার থেকে বাচতে হলে আপনার রোগটা যাতে না হয় সে দিকে বেশী মনযোগ দেয়া উচিৎ। বিশেষ করে আমাদের দেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগ হয়েছে জানতে পারেন একেবারে শেষের দিকে। তখন আর তেমন কিছু করার থাকেনা। তাই রোগটা যাতে না হয় সে দিকে লক্ষ রাখা জরুরী। যৌনাজ্ঞ পরিষ্কার রাখুন, একাধিক পুরুষের সাথে যৌন মিলন এড়িয়ে চলুন, প্রাপ্ত বয়সের আগে যৌন মিলন করা থেকে বিরত থাকুন, নিয়মিত বিষেশজ্ঞ দিয়ে যৌন পথ পরিক্ষা করুন।

জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি?

জরায়ু ক্যান্সার হলে কি করবেন:

  • দ্রুত বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন

প্রতিরোধঃ

  • প্রতি তিনবছর অন্তর স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে জরায়ু-মুখ অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে।
  • ৩০ বছরের বেশি বয়স হলেই জরায়ু-মুখ অবশ্যই  পরীক্ষা করাতে হবে৷ তবে ১৮ বছরের পূর্বে  এবং বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে ২৫ বছর বয়স হলেই জরায়ু মুখ পরীক্ষা করাতে হবে।

জেনে নিন মাসিক বা পিরিয়ড কেনো হয়

সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই একে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সাদা স্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

Published by:

সাদা স্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

যৌন স্রাব আপনাকে জানান দেয় যে আপনার যৌনি সুস্থ আছে। আপনার মাসিক চক্রের বিভিন্ন সময়ে আপনি এই যৌন স্রাবের বিভিন্ন প্রকার দেখতে পারেন। আর অধিকাংশ প্রকারের যৌন স্রাব আপনাকে জানিয়ে দেয় সব কিছু ঠিক ঠাক আছে, আপনার যৌনি সুস্থ আছে। তবে কখনো কখনো সাদা স্রাব আপনার আসুস্থতার লক্ষন হিসাবে দেখা দেয়। আর আজকে আমরা সাদা স্রাব হওয়ার কারণ ও এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করবো।

সাদা স্রাব বা লিকোরিয়া কি?

পানির মতো তরল পিচ্ছিল স্বচ্ছ সাদা পদার্থ যা মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে আসে। এটা জরায়ু ও যোনিপথের সাধারণ নিঃসরণ যাতে মরা কোষ ও কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। এটি এক ধরনের অম্ল (অপরফরপ) নিঃসরণ।
মহিলাদের সন্তান প্রসব হওয়ার যে (পথ বা রাস্তা) সে পথে এক প্রকার ঘন স্রাব হওয়াকে প্রদর বা লিকোরিয়া বলে। মনে রাখবেন- ইহা কোন রোগ নয়, সাদা স্রাব বা লিকোরিয়া রোগের লক্ষন বা উপসর্গ মাত্র।

সাদাস্রাবের পরিমাণ নারীর জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হতে পারে। বিশেষ কিছু সময়ে যেমন, যৌন ভাবনা বা উত্তেজনার সময়, ডিম্ব প্রস্ফুটনের সময় (ঋতুচক্রের মাঝামাঝি সময়), মাসিকের আগে ও পরে, গর্ভকালীন সময় ও সদ্য ভূমিষ্ঠ মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে একটু বেশি নিঃসরণ এতটাই স্বাভাবিক যে এটা আপনার যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের সুস্থতাকেই ইঙ্গিত করে। তবে এই নিঃসরণের স্বাভাবিক মান বজায় রাখা জরুরি, নতুবা তা অস্বাভাবিক সাদা স্রাবে রূপান্তরিত হতে পারে।

অনেক মহিলাদের বিয়ের আগে ও পরে এই রোগ হয়। কিন্তু অনেকে লজ্জায় বা অবহেলা করে নিজের নিকট তা লুকিয়ে রাখে। অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্বও দেয়না। তবে ইদানিং মহিলাদের শিক্ষিত হার বেড়ে যাওয়াতে অনেক সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। এখন একে অন্যের নিকট বিভিন্ন সমস্যার কথা শেয়ার করে। যার কারনে এখন অনেকে এই সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছেন ।

অস্বাভাবিক সাদাস্রাব

যে স্রাব নিঃসরণে অস্বসিত্ম বোধ হয় যেমন;
১. বেশি পরিমাণ নিঃসরণ যাতে পরনের কাপড়, পেটিকোট, পাজামা বা প্যান্টি বেশি ভিজে যায়।
২. নিঃসরণের সাথে যোনিপথ ও আশেপাশের অংশ চুলকায়।
৩. নিঃসরণের সাথে দুর্গন্ধ বের হয়।
৪. নিঃসরণ স্বচ্ছ সাদা, তরল ও পিচ্ছিলের পরিবর্তে বাদামী, সবুজ, হলুদ বা ঘন সাদা থকথকে হয়।
৫. ফেনাসাদা বা চাল ধোয়া পানির মতো তরল পদার্থ বের হয়।

জরায়ু ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ

কেন সাদা স্রাব হয়

সাদা স্রাব হওয়ার পিছনে অনেক গুলো কারন জড়িত।

০১। প্রধান কারন হল ইনফেকশন। মহিলাদের জরায়ু “ওপেন অরগ্যান” উন্মুক্ত অংগ গুলোর মধ্যে একটি। যেহেতু জরায়ু উন্মুক্ত থাকে, তাই যে কোন ভাবে এইখানে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

২। মলদ্বার বা পায়ুদেশ থেকে জীবানু আসিয়া খুব সহজেই জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে।

৩। পুরুষের মাধ্যমেও এই রোগ হতে পারে। ট্রাইকোমানো এবং মোনালিয়া এই দু’টি ইনফেকশন যৌন রোগের জীবানু বহনকারী পুরুষের মাধ্যমে স্ত্রীলোকদের মধ্যে সংক্রমিত হয়।

৪। মোনালিয়া জীবানু দ্বারা আক্রান্ত জরায়ুতে চুলকানি হয় এবং ব্যথা করে। ঘন হলুদের মত স্রাব হয়।

৫। ট্রাইকোমানো জীবানু দ্বরা আক্রান্ত জরায়ুতে জ্বালাভাব থাকে, চুলকানি হয়, জরায়ু একটু ফুলিয়া যায়, লালচে হয়ে যায়। ফেনাটে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয়।

৬। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ও উপযুক্ত পরিবেশের অভাবের কারনে এই রোগ হতে পারে।

৭। জম্ম নিরোধক বড়ি হতেও হতে পারে।

৮। ঋতুস্রাবের পরবর্তী প্রযায়ে গর্ভপাত করালে, ইত্যাদি কারনে হতে পারে।

৯। মেয়েদের বা মহিলাদের মাসিক বা ঋতুচক্র আরম্ভ হলে অনেকে ময়লা অপরিষ্কার নেকরা বা কাপড় কিংবা অপরিষ্কার পেন্টি ব্যবহার করেন। যার কারনে জরায়ুতে ইনফেকশান হয়ে এই রোগ হয়।

১০। মানসিক রোগ হতেও লিকোরিয়া বা সাদা স্রাব হতে পারে।

১১। শরীরের যক্ষ্মা, রক্তহীনতা, ভিটামিনের অভাবে এই রোগ হতে পারে

১২। হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন

১৩। বৃদ্ধ বয়সে শরীরের চামড়া শুকাইয়া যায়, কুচকাইয়া যায়। সে সময় জরায়ু শুকাইয়া গেলে এই রোগ হতে পারে।

জরায়ু নিচে নেমে যায় কেন, প্রতিকার কি?

সাদা স্রাব রোধে পরামর্শ

১। সহবাসের পর যেসব মহিলাদের লালচে বা গোলাপি স্রাব হয়, তাহাদের খুব শীগ্রি ডাক্তারের নিকট যাওয়া উচিৎ। এমনকি যদি দু’টি পিরিয়ডের মাঝখনে পিংক ডিসচার্জ হয় তাহলেও ডাক্তার দেখাতে হবে। যদি পিরিয়ডের মাঝামাঝি সময়ে পানির মত পাতলা স্রাব হয়, তাহলে ভয়ের কিছু নাই।

২। এই রোগের থেকে পরিত্রান (বিবাহিত হলে) স্বামী স্ত্রী দু’জনকে একসাথে করতে হবে। কেননা স্বামীর নিকট থেকে প্রবত্তীতে আবার স্ত্রী ইনফেকশন হতে পারে।

৩। সংক্রমণ এড়াইতে হইলে একটাই উপায়- তা হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

৪। মাসিক বা ঋতুচক্রে পরিষ্কার জীবানুমুক্ত (ডেটল বা সেবলন) দিয়ে কিংবা ভালভাবে সাবান দিয়ে পেন্টি বা কাপড় জীবানুমুক্ত করে তা ব্যবহার করতে হবে।

৬। প্রদর বা সাদা স্রাব যাওয়া অবস্থায় কোন প্রকার মিলন বা সহবাস করা যাবেনা।

৭। পুষ্টিকর বা বল বৃদ্ধিকারক খাবার খাইতে হইবে।

৮। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম করতে হবে।

৯। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির কারণে হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বন্ধ রাখতে হবে।

মাসিকের আগে, পরে, মাঝখানে এবং গর্ভাবস্থায় সাদাস্রাব হবে। তবে এটা যদি এমন হয় তার পোশাক ভিজে যাচ্ছে- তবে তাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কিংবা কোনো গন্ধ হচ্ছে বা চুলকানি হচ্ছে তখন অবশ্যই চিকিৎসা লাগবে। এ ছাড়া বলি স্বাস্থ্য ভালো করো। যদি সাদাস্রাব বেশি হয় অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

গর্ভপাত কি এবং গর্ভপাত কেন হয়?

রোগীর কিছু জিনিস দেখতে হবে। চুলকানি আছে কি না জানতে হবে। তার জ্বালাপোড়া হচ্ছে কি না বুঝতে হবে। সাদাস্রাবে গন্ধ আছে কি না দেখতে হবে। পরিমাণ বুঝতে হবে। 
Published by:
//GA Code Start //GA code end